
গাজীপুরের শ্রীপুরে টিনশেডের একটি বাড়িতে দুটি বৈদ্যুতিক লাইট এবং দুটি সিলিং ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন আবদুল মান্নান তার বাড়িতে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ এলাকার মো. আব্দুল মান্নানের স্ত্রী মর্জিনা বেগম নামের এক বিদ্যুৎ গ্রাহকের নামে এমন ঘটনা ঘটে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে ভুলবশত এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ শ্রীপুর জোনাল অফিস। ভুক্তভোগী ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, গত রোববার ২৭ জুলাই দুপুরের পরে জুলাই মাসের বিল নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা আমার বাড়িতে গেলে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। অথচ এপ্রিল মাসে আমার বিল এসেছিল ১৪০ টাকা, মে মাসে ১১৫ টাকা ও জুনে ১২৬ টাকা। আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা গরিব মানুষ, এমন বিল পেয়ে মাথা ঘুরে গেছে। এখন আবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দরজায় দরজায় ঘুরতে হবে। এটা মারাত্মক হয়রানি। সারা জীবনেও এত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা সম্ভব না আমার। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রীপুর অফিসার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম জানান, একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার বাড়িতে এমন বিল আসা ভুল ছাড়া আর কিছু নয়। বিষয়টি আমরা দেখব। বিল সংশোধন করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিল প্রস্তুতকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে হবে।