
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায় না। ভঙ্গুর ড্রেনেজ , শহরের মধ্যে রাস্তার বেহাল দশায় নাগরিক সেবা এখন অধরা । ৫ আগষ্টের পর মেয়র পদ শূন্য পৌর প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পান উপজেলা নিবার্হি কর্মকর্তা । দায়িত্ব নিয়ে তিনিও নাগরিক সেবার মান ঠিক রাখতে পারেননি । পৌর বাসির অভিযোগ ইউএনও পৌরবাসির কথা একদিনও শুনতে আসেননি । সব মিলে ফাস্ট ক্লাস পৌরসভা এখন থার্ড ক্লাস পৌরসভায় পরিনত হয়েছে । বৃহঃবার সকালে আড়পাড়া পৌরবাসী সড়কের গর্তে পোনা ফেলে অভিনব প্রতিবাদ করেছেন ।
বর্ষা মৌসুমে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার অধিকাংশ স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় । মূলত ভঙ্গুর ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য এমন হাল । এ ছাড়া শহরের ভিতর বিভিন্ন রাস্তা গত ১ বছরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় নাগরিক ভোগান্তি এখন চরমে। গত ১ বছর পৌর প্রশাসকের সঠিক তদারকি না থাকায় এমন হাল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এ ছাড়া ফ্যাসিস্ট আমলের নানা প্রকল্প গত ১ বছরের পৌর প্রশাসকের হাত ধরে পাশ হলে নাগরিক সেবার বেলায় উদাসিনতা দেখা গিয়েছে বরাবরই । প্রতিদিন সে দিনের অফিস রাতে করে যার কারনে ফাস্ট ক্লাস পৌরসভা এখন থার্ড ক্লাস পৌরসভায় রপান্তর হয়েছে । শহরের আড়পাড়া পৌরবাসী সড়কের গর্তে পোনা মাছ ফেলে অভিনব প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়েছেন । শহরের হাসপাতাল সড়ক, কলেজ রোড, থানা রোড, নলডাঙ্গা রোড বেহাল দশা । ভোগান্তির শিকার শুকুর আলী বলেছেন, আমরা জলাবন্ধতা আছি পৌরবাসী, জামান আক্তার বলেছেন, নাগরিক সুবিধা থেকে বঞিত আছি আমরা।
এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি উপজেলা নিবার্হি কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা দেদারুল ইসলাম।