
বাংলাদেশে সম্প্রতি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হুমকি, হেনস্তা ও দমনমূলক আচরণের ঘটনাগুলো উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, বিশেষ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা, যেমন রাজনৈতিকভাবে তেমনি দুস্কৃতিকারী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিরন্তরলি হেনস্তা করে চলছে।
গত কয়েক মাসে একাধিক সাংবাদিককে ভয়ভীতি প্রদর্শন, সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা, এমনকি খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি আমাদের আজকের খবর প্রতিনিধির ক্ষেত্রেও ঘটে ঘটনা। যদি পরে স্থানিয়ভাবে মিটমাট হয়। এ ব্যাপারে স্থানিয় বিএনপি নেতা যিনি মানবিক ও ন্যার্য নেতৃত্বের রূপকার তিনি বলেন, মুক্তজ্ঞান চর্চাকারীদের উপর কোনরূপ অন্যায় চাপিয়ে দিলে, তা কখনো মেনে নেয়া হবে না। কোন ধরনের ফ্যাসিজম নীতি বহমান থাকতে পারবে না। এহেন হীনমানসিকতার মানুষগুলো যেন ভালো হয়ে যায়, সে ব্যাপারে তিনি হুশিয়ারি দেন।
সাংবাদিকতা পেশা একটি প্রভাবশালী ও সমাজের দর্পণ। সকলের মতো তারাও সমাজকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে সহযোগিতা করছে। অহেতুকভাবে দুস্কৃতিকারী ব্যক্তিদের দ্বারা ধারাবাহিক হুমকি পান, এটা কখনো কাম্য না। শোনা যায়, সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যদেরও টার্গেট করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব হামলা কেবল ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ওপর নয়, বরং দেশের গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত।
বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের শনাক্ত ও বিচার দাবি করেছে। তারা বলেন, “গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করার অপচেষ্টা বরদাশত করা হবে না। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়া:
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তরফ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (RSF) এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, “বাংলাদেশে সাংবাদিকদের জন্য পরিবেশ দিনদিন ভয়ানক হয়ে উঠছে। নিরাপদ ও স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করার অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায় যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, “সরকার সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। যেকোনো হুমকির অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।”
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ ভেঙে পড়বে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।