০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর মহান আত্মত্যাগকে স্মরনীয় করে রাখতে পাঠ্যপুস্তকে ঠাঁই চান সুশীল মহল

  • আমিনুল হক
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • 157

Oplus_16777216

শিক্ষক আমি শ্রেষ্ট সবার দিল্লির পতি সে তো কোন ছ্যার”কাজী কাদের নেওয়াজের লেখা শিক্ষকের মর্যাদায় সে বলিষ্ঠ বাক্য লিখেছিলেন বহুকাল আগে। সে কাব্যকথা অনেকটাই ম্লান হয়ে এসেছিলো, নিকট অতীতে তার নিকৃষ্টতর প্রমানও দেখেছে দেশ ও জাতি।”একজন মাহেরীন চৌধুরী যেন ইতিহাসে হারিয়ে না যান”সবাই ভক্তি ভরে ,তাঁর ই অর্চনা করে..যিনি বিদ্যা করতেন দান ।মাইলস্টোন স্কুলের মৃত্যুঘণ্টা বাজানোর আগেই এক মহীয়সী শিক্ষিকা বাঁচিয়ে গেছেন বিশটি প্রাণ। নিজের সন্তানদের এতিম করে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন বিশজন শিশুকে তাদের মায়ের কোলে পিঠে। এই যে প্রাণের বিনিময়ে প্রদত্ত মহান দৃষ্টান্ত-এটি কি কেবল সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েই থাকবে?না, আমরা তা হতে দিতে চাই না।এই আত্মত্যাগ শুধু শোক নয়-এটি জাতির জন্য এক অনন্ত পাঠ। এই সাহস, এই মানবতা, এই শিক্ষাগত মহত্ত্ব আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে, শেখাতে হবে।তাই আমরা জোরালো ভাবে দাবি জানাই-শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর এই মহান আত্মোৎসর্গকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকে সংযুক্ত করা হোক।শিক্ষার্থীরা বইয়ের পৃষ্ঠা ওল্টাতে ওল্টাতে যেন জানতে পারে, শিক্ষক মানে শুধু শ্রেণিকক্ষের পাঠদান নয়-শিক্ষক মানে জীবন দিয়ে জীবন বাঁচানোও। মাহেরীন চৌধুরীর নাম যেন শ্রদ্ধায় উচ্চারিত হয়, তার কীর্তি যেন আদর্শ হয়ে দাঁড়ায় প্রতিটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক হৃদয়ে।পাঠ্যবইয়ে স্থান পেলে, এই দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতের শত শত শিক্ষককে অনুপ্রাণিত করবে, শিক্ষার্থীদের অন্তরে শিক্ষকের জন্য গড়ে তুলবে শ্রদ্ধার অটল মিনার। তখন আর কোনো শিক্ষক ছাত্রের হাতে লাঞ্ছিত হবেন না, উপেক্ষিত হবেন না-কারণ তখন প্রজন্ম জানবে, শিক্ষক মানে জীবনের চেয়ে বড় কিছু।মাহেরীন চৌধুরীর আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় নয়, জাতির পাঠ্যপুস্তকে অমর হোক-এই আমাদের সম্মিলিত, অবিচল, অটল দাবী।অনুগ্রহ করে সকলেই জোর দাবি জানান যেন শিক্ষা উপদেষ্টার নজর কাড়ে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কোথায় লড়বেন তারেক রহমান? বগুড়া, ঢাকা না সিলেট—ভোটের গুঞ্জন তুঙ্গে

বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর মহান আত্মত্যাগকে স্মরনীয় করে রাখতে পাঠ্যপুস্তকে ঠাঁই চান সুশীল মহল

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

শিক্ষক আমি শ্রেষ্ট সবার দিল্লির পতি সে তো কোন ছ্যার”কাজী কাদের নেওয়াজের লেখা শিক্ষকের মর্যাদায় সে বলিষ্ঠ বাক্য লিখেছিলেন বহুকাল আগে। সে কাব্যকথা অনেকটাই ম্লান হয়ে এসেছিলো, নিকট অতীতে তার নিকৃষ্টতর প্রমানও দেখেছে দেশ ও জাতি।”একজন মাহেরীন চৌধুরী যেন ইতিহাসে হারিয়ে না যান”সবাই ভক্তি ভরে ,তাঁর ই অর্চনা করে..যিনি বিদ্যা করতেন দান ।মাইলস্টোন স্কুলের মৃত্যুঘণ্টা বাজানোর আগেই এক মহীয়সী শিক্ষিকা বাঁচিয়ে গেছেন বিশটি প্রাণ। নিজের সন্তানদের এতিম করে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন বিশজন শিশুকে তাদের মায়ের কোলে পিঠে। এই যে প্রাণের বিনিময়ে প্রদত্ত মহান দৃষ্টান্ত-এটি কি কেবল সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েই থাকবে?না, আমরা তা হতে দিতে চাই না।এই আত্মত্যাগ শুধু শোক নয়-এটি জাতির জন্য এক অনন্ত পাঠ। এই সাহস, এই মানবতা, এই শিক্ষাগত মহত্ত্ব আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে, শেখাতে হবে।তাই আমরা জোরালো ভাবে দাবি জানাই-শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর এই মহান আত্মোৎসর্গকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকে সংযুক্ত করা হোক।শিক্ষার্থীরা বইয়ের পৃষ্ঠা ওল্টাতে ওল্টাতে যেন জানতে পারে, শিক্ষক মানে শুধু শ্রেণিকক্ষের পাঠদান নয়-শিক্ষক মানে জীবন দিয়ে জীবন বাঁচানোও। মাহেরীন চৌধুরীর নাম যেন শ্রদ্ধায় উচ্চারিত হয়, তার কীর্তি যেন আদর্শ হয়ে দাঁড়ায় প্রতিটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক হৃদয়ে।পাঠ্যবইয়ে স্থান পেলে, এই দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতের শত শত শিক্ষককে অনুপ্রাণিত করবে, শিক্ষার্থীদের অন্তরে শিক্ষকের জন্য গড়ে তুলবে শ্রদ্ধার অটল মিনার। তখন আর কোনো শিক্ষক ছাত্রের হাতে লাঞ্ছিত হবেন না, উপেক্ষিত হবেন না-কারণ তখন প্রজন্ম জানবে, শিক্ষক মানে জীবনের চেয়ে বড় কিছু।মাহেরীন চৌধুরীর আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় নয়, জাতির পাঠ্যপুস্তকে অমর হোক-এই আমাদের সম্মিলিত, অবিচল, অটল দাবী।অনুগ্রহ করে সকলেই জোর দাবি জানান যেন শিক্ষা উপদেষ্টার নজর কাড়ে।