
বগুড়ার ধুনট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মথুরাপুর বাজারে দোকান বরাদ্দ ও মালিকানা ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে একটি মহলের প্রভাব বিস্তার এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে উঠে আসে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী নেতাকর্মী দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলে সরকারি ক্ষমতা ও প্রভাব ব্যবহার করে বাজারের দোকান এবং স্থাপনার দখল নিয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, শতবর্ষের বেশি পুরনো এই বাজারের গরুহাটি, যা এক সময় ঐতিহ্যবাহী পশু বেচাকেনার কেন্দ্র ছিল, তা বর্তমানে ব্যক্তি মালিকানাধীন মুদিখানা ও কাঁচা বাজারে রূপ নিয়েছে। বাজারের সরকারি স্থাপনাগুলোর একাধিক দোকান নিজেদের নামে বরাদ্দ নেন যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। পরবর্তীতে এসব দোকান মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তৃতীয় ব্যক্তির কাছে অবৈধভাবে লিখে দেওয়া হয়।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, বাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করা বিএনপি’র একটি দলীয় কার্যালয় ভেঙে সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে ব্যক্তিগত মার্কেট। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এই কর্মকাণ্ড চালানো হয় বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দোকান বরাদ্দ নিয়ে প্রতিবাদ করলে অনেককে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হয়। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলীকেও রাজনৈতিক প্রভাবে নিশ্চুপ রাখা হয়।
প্রভাবশালীদের মধ্যে অন্যতম হলেন—মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মনতুজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ওরফে গালফোলা, স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল, জাহাঙ্গীর আলম ও শাহজাহান আলীও যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুকুল হোসেন তারা বিভিন্ন সময় দোকান বরাদ্দের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত।
স্থানীয়দের মতে, বর্তমান সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাজারটির ঐতিহ্য পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাদের দাবি, বিগত সরকারের আমলে যারা অবৈধভাবে দোকান দখল ও বরাদ্দ নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাজারটির পূর্বের গরুহাটি ও ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার এবং নতুনভাবে সংস্কার করা হোক।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান এর বক্তব্য নিতে গেলে তিনি অস্বীকার করেন এবং গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে বলে তার কড়া সমালোচনা করেন।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো বক্তব্য পাওয়া গেলে তা পরবর্তীতে হালনাগাদ করা হবে.,,