
কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামে অবস্থিত মুঘল স্থাপনা ঐতিহাসিক শাহ কুতু মসজিদ।মসজিদের পশ্চিম পাশে অবস্থিত হযরত শাহ কুতুব(রঃ) এর মাজার।যিনি বাংলাদেশে আগত ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম একজন।উনার নাম অনুসারে উক্ত মসজিদের নামকরণ করা হয়।মসজিদের দেয়ালের কারুকার্য এবং ঐতিহাসিকদের মতে ১৬শতকে মোঘল আমলে মসজিদটি নির্মান করা হয়।মাজার ও মসজিদ কমপ্লেক্সটি ০.৭৫ একর জায়গায় যা লোহার গ্রিল দিয়ে চতুর্পাশ আবদ্ধ করা।১৯০৫ সাল থেকে প্রত্নতত্ন অধিদপ্তরের তত্বাবধানেই পরিচালিত হয়ে আসছে।
উক্ত কমপ্লেক্সের মূল ফটকে ইট,পাথর,বালু,সিমেন্ট ও টাইলস দিয়ে তৈরি করা হয় মসজিদের প্রধান দানবাক্স।যেটি গতকাল রাতে দুবৃত্তরা ভেঙে এর ভিতরে দানকৃত টাকা,বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা সহ স্বর্নলংকার চুরি করে নিয়ে যায়।এমন একটি স্পর্শকাতর স্থাপনায় চুরি সংঘটিত হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঐতিহাসিক স্থাপনা হওয়ায় মসজিদ ও মাজারে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি ভিড় করেন।বিশেষ করে হাওড় ভ্রমনে আসা বছরে লাখো পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণও উক্ত মসজিদ কমপ্লেক্স।স্থানীয় জনগন ও বাহির থেকে আগত পর্যটকেরা এমন ঘটনায় হতভম্ব।মসজিদের খতিব মাওলানা ক্বারী জালাল উদ্দিন আশরাফি বলেন ফজরের আজান দেওয়ার জন্য মুয়াজ্জিন সাহেব মূল ফটকের প্রবেশের সময় তিনি ভাঙা অবস্থায় দানবাক্সটি দেখতে পেয়ে ইমাম ও মুসুল্লিদের খবর দেন।তিনি বলেন এমন শক্তপোক্ত একটি দানবাক্স ভেঙে চুরি করা সময়সাপেক্ষ বিষয়।তিনি সহ পুরো অষ্টগ্রামের জনগন উক্ত নিন্দিত চুরির সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের দৃঢ় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পাশাপাশি অষ্টগ্রামে বেড়ে যাওয়া চুরির উপদ্রব কমাতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
উল্লেখ্য বিগত কয়েক মাসে অষ্টগ্রামে মোবাইলফোন, মটর,টিউবওয়েল,ইজিবাইকের ব্যাটারি চুরি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে।এলাকার সর্বসাধারণের একটাই দাবি এসকল ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।