
শনিবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটায় ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। মারুফা আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী মিজানুর রহমান ও একই এলাকার ঔষধ ব্যবসায়ী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার মধ্যরাতে হঠাৎ মারুফার ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এরপর আশপাশের বাসিন্দারা এগিয়ে গিয়ে মারুফার ঘরটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখেন। পরে তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে মারুফার আংশিক পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করেন তারা। এ সময় মারুফার সাথে থাকা তার স্বামী সেখানে ছিলেন না। এমনকি ঘটনার পর থেকে তার হদিস নেই।
মারুার মেয়ের স্বামী মোঃ মোতালেব বলেন, তার শাশুড়ি বিদেশে থাকতেন। সে সময় তার শ্বশুরের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। বিদেশ থেকে এসে তার বাবার বাড়িতে থাকছিলেন। এরপর মিজানুর রহমান ভুয়া কাবিন তৈরি করে তার শ্বাশুড়িকে ব্লেকমেইল করে স্ত্রী হিসেবে দাবী করছিলেন। মোতালেব বলেন, এই ঘটনায় মিজানুর রহমানের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে আমাদের ধারণা। তিনি ঘটনার পর থেকে পালিয়ে আছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা ঘরের ভিতরে স্ত্রীর শরীরে আগুন দিয়ে ও মাথায় আঘাত করে মারুফার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এরপর বাইরের দিক থেকে তালা লাগিয়ে মারুফার স্বামী মিজানুর রহমান পালিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।