০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সদরপুরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা

  • Murad Hassan
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৪৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • 9
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর গ্রামে পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, স্বর্ণালঙ্কার লুট ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা হালিমা আক্তার বাদী হয়ে আবু মেম্বার, শামীম শেখ, সুজন শেখ, আলমগীর খন্দকার, সরাবউদ্দিন খন্দকার, শেখ শাহীন, সজীব এবং পিরু শেখের বিরুদ্ধে সদরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ৩ আগস্ট (রবিবার) রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের আবু মেম্বারের হুকুমে কয়েকজন ব্যক্তি সংঘবদ্ধভাবে তার ক্রয়কৃত জমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বালু ফেলা কাজে বাধা প্রদান করে এবং গালিগালাজ করে।
এ সময় হালিমা আক্তার (৪৫) ও তার স্বামী শেখ আঃ রব (৬০) এবং তার পুত্র শিশির শেখ (২১) বিবাদীদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করায় বিবাদীদের সাথে তাদের কথা কাটাকাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিবাদী আবু মেম্বারের হুকুমে আলমগীর খন্দকার এবং সরাবদ্দিন খন্দকার শেখ আঃ রবকে এলোপাতারী লাঠিসোটা দিয়া পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। এ সময় শিশির শেখ বিবাদীদের কবল হতে তার বাবা শেখ রবকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে গেলে শামীম শেখ শিশিরকে এলোপাতারী কিলঘুশি ও লাথি মেরে নিলাফুলা জখম করে এবং শিশিরের হাতে থাকা মোবাইল ফোন যাহার মূল্য ২৩,০০০/- (তেইশ হাজার) টাকা জোর পূর্বক নিয়া নেয়। এসময় বিবাদী শেখ শাহিন হালিমার গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন যাহার মূল্য ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা জোর পূর্বক নিয়া নেয়।  পরে আবু মেম্বারের হুকুমে অন্যান্য বিবাদীরা তাদেরকে এলোপাতারী পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা তাদেরকে খুন জখমের হুমকি দিয়া চলে যায়। জখম হয়ে তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে সদরপুর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার শেখ রবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা আইনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মদন উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির কমিটি ঘোষণা

সদরপুরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৪৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর গ্রামে পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, স্বর্ণালঙ্কার লুট ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা হালিমা আক্তার বাদী হয়ে আবু মেম্বার, শামীম শেখ, সুজন শেখ, আলমগীর খন্দকার, সরাবউদ্দিন খন্দকার, শেখ শাহীন, সজীব এবং পিরু শেখের বিরুদ্ধে সদরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ৩ আগস্ট (রবিবার) রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের আবু মেম্বারের হুকুমে কয়েকজন ব্যক্তি সংঘবদ্ধভাবে তার ক্রয়কৃত জমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বালু ফেলা কাজে বাধা প্রদান করে এবং গালিগালাজ করে।
এ সময় হালিমা আক্তার (৪৫) ও তার স্বামী শেখ আঃ রব (৬০) এবং তার পুত্র শিশির শেখ (২১) বিবাদীদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করায় বিবাদীদের সাথে তাদের কথা কাটাকাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিবাদী আবু মেম্বারের হুকুমে আলমগীর খন্দকার এবং সরাবদ্দিন খন্দকার শেখ আঃ রবকে এলোপাতারী লাঠিসোটা দিয়া পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। এ সময় শিশির শেখ বিবাদীদের কবল হতে তার বাবা শেখ রবকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে গেলে শামীম শেখ শিশিরকে এলোপাতারী কিলঘুশি ও লাথি মেরে নিলাফুলা জখম করে এবং শিশিরের হাতে থাকা মোবাইল ফোন যাহার মূল্য ২৩,০০০/- (তেইশ হাজার) টাকা জোর পূর্বক নিয়া নেয়। এসময় বিবাদী শেখ শাহিন হালিমার গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন যাহার মূল্য ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা জোর পূর্বক নিয়া নেয়।  পরে আবু মেম্বারের হুকুমে অন্যান্য বিবাদীরা তাদেরকে এলোপাতারী পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা তাদেরকে খুন জখমের হুমকি দিয়া চলে যায়। জখম হয়ে তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে সদরপুর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার শেখ রবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা আইনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।