
আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মাসুমার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরের নারায়নপুরে।বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে একমাত্র মেয়ে তিনি।গুরুদাসপুরেই ছোট থেকে বেড়ে ওঠা তার।মাসুমা রাজশাহী নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে লেখাপড়া করেন।আর সাংবাদিকতা শুরু করেন ২০১৪ সালে। গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে স্বামীসহ বেড়াতে যাচ্ছিলেন।এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নূরজাহান হোটেলের উল্টোদিকে বাস থেকে নেমে সিএনজি ঠিক করার সময় দ্রুতগামী একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়।এতে ঘটনাস্থলে সিএনজি চালক ও মাসুমা আক্তার ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন। প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।চিকিৎসায় উন্নতি না হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আজ (মঙ্গলবার) ভোরে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। জানা গেছে, মাসুমার মরদেহ রাজধানীর বাবর রোডে মারকাজুল ইসলামে নিয়ে যাওয়া হবে।সেখানে গোসল শেষে আনুমানিক সাড়ে দশটায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।এরপর তাকে নাটোরের গুরুদাসপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। মাসুমা আক্তারের অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।রাজশাহীর প্রায় সকল সাংবাদিক তাদের ফেসবুকে মাসুমার মৃত্যু নিয়ে পোস্ট দিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। সহকর্মীরা বলছেন, তিনি ছিলেন নির্ভীক, নিষ্ঠাবান ও মানবিক সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।তার প্রয়াণ গণমাধ্যমের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। একজন প্রতিশ্রুতিশীল ও সাহসী সাংবাদিকের চলে যাওয়া গণমাধ্যম জগতে এক শূন্যতা তৈরি করল।তার কর্ম, আদর্শ ও নিষ্ঠা ভবিষ্যৎ সাংবাদিকদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।মৃত্যুর পরও তিনি বেঁচে থাকবেন তার কাজের মাধ্যমে।