
পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন তাঁতীদলের সভাপতি মোঃ আঃ সালাম বলেছেন,আমি কখনও কোনদিন কৃষকলীগের সাথে জড়িত ছিলাম না। কোনদিন আওয়ামী লীগ করিনি। আমি ও আমার পরিবার বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। সম্প্রতি আমাকে বিলচলন ইউনিয়ন তাঁতীদলের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এরপর থেকেই আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ নানা অপপ্রচার শুরু করেছে। আমাকে কৃষকলীগের সদস্য হিসেবে প্রচার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বুধবার বিকেল ৫টায় চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য আঃ সালাম একথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে আঃ সালাম বলেন,আমি একজন ইউপি সদস্য হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যেতেই পারি। তাই বলে আমি আওয়ামী লীগ বা কৃষকলীগ হয়ে যাইনি। এঘটনা পত্র-পত্রিকা ও ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে যে,আমি কৃষকলীগ করতাম,এখন তাঁতীদলের সভাপতি। চেয়ারম্যানের সাথে মোটরসাইকেলের ছবিটি এডিট করা হয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য। কৃষকলীগের সাথে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। কোন কমিটিতে আমার নাম থাকলে,সেটা আমার জানা নেই। আমার কোন অনুমতিও কোনদিন নেওয়া হয়নি বা কোথাও আমার কোন স্বাক্ষরও নেই। আঃ সালাম আরো বলেন,আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এ ধরণের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। আমি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। বিধায় তাঁতীদলের সভাপতি হিসেবে আমাকে বিলচলন ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি বিগত ২০১৪ সালে বিলচলন ইউনিয়ন কৃষকদলের সক্রিয় সদস্য ছিলাম। আমার ও আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্যই এ ধরণের অপপ্রচার চলছে। আমি এসকল কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে ছিলাম,আছি এবং থাকবো। সংবাদ সম্মেলনে আঃ সালাম চাটমোহর উপজেলা কৃষকরীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমানের প্রত্যায়নপত্র উপস্থাপন করেন। সেখানে কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেছেন,আঃ সালাম কথনও কৃষকলীগ করেননি। কৃষকলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন,বিএনপি নেতা আকতার আলী,তাঁতীদলের নেতা আমিনুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।