
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে শুক্রবার রাত১০:১৫ টায় শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া বাজারের কীর্তিনাশা নদী থেকে। প্রত্যক্ষ দর্শীদের সাথে আলাপ করে জানা যায় ডাকাত দল মাদারীপুরের মঠের বাজার থেকে তাড়া খেয়ে প্রাণ রক্ষার জন্য শরীয়তপুর কীর্তিনাশা নদীতে স্পিডবোট নিয়ে প্রবেশ করলে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা ডাকাত দলকে ধাওয়া দিলে ডাকাত দল তাদের হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে এলো পাতাড়ি গুলি চালায় এতে ৩ জন সাধারণ জনগণ গুলিবিদ্ধ হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর পর পরই সারা শরীয়তপুর শহরের গণমাধ্যম, পুলিশ, সেনাবাহিনী সাধারণ জনগণ ডাকাত দলের সদস্যদের ধাওয়া করলে আড়িগাও কীর্তিনাশা নদীর পাড়ে রাত ১২:৪০ টা জনগণের হাতে ডাকাত দলের ৭ সদস্য গণপিটুনি খায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ৭ জনকে সদর হাসপাতাল ভর্তি করে। সদর হাসপাতালের ডিউটিরত ডাক্তার ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়। সারা শরীয়তপুর শহরে রাতভর ডাকাত আতঙ্কে ছিল নগরবাসী। মসজিদে মসজিদে মাইকে ডাকাত ডাকাত বলে এলাম আসতে থাকে আর হাজার হাজার উৎসুক মানুষ ঘর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে কেউ আসে ডাকাত দেখতে কেউ আসে ডাকাত ধরতে । রাত ০১ঃ৩৫ টায় সদর হাসপাতালে ডাকাত দলের সদস্যদের ভর্তি করানো হলে ৭০০ থেকে ৮০০ সাধারণ জনগণ সদর হাসপাতালে ভিড় জমায়। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বলে ডাকাতদের নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই আমরা পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। পুলিশ সুপার জানান পুলিশ সব সময়ই জনগণের নিরাপত্তা প্রদানে প্রস্তুত যার প্রমাণ আজকে পেয়েছেন আশা করি ডাকাতসহ বিভিন্ন অপরাধীরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো কোনো মামলা হয়নি। ডাকাত সদস্যদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার কুন্ডের চরের আনোয়ার দেওয়ান (৫০), মুন্সিগঞ্জ কালীরচর থানার রিপন (৪০), মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরের সজিব (৩০)।