০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণ স্বামী স্ত্রী দগ্ধ হাসপাতালে ভর্তি মোস্তাফিজুর রহমান

গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণে আসিফ (২৮) ও শান্তা(২১) নামে স্বামী স্ত্রী দগ্ধ হয়ে বর্তমানে   ঢাকার জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার রাত প্রায় ১২ টার দিকে এই গ্যাস লিকেজের ঘটনা ঘটেছে। ধামরাই পৌরসভার কুমড়াইল মহল্লায় কুববাত এর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। দগ্ধ স্বামী স্ত্রী কুববাত এর বাড়ির নিচ তলার ভাড়াটিয়া। আহত দগ্ধ স্বামী স্ত্রী টাঙ্গাইল জেলার  মির্জাপুর উপজেলার বাসিন্দা। আসিফ পেশায় একজন রিকশাচালক ও  স্ত্রী শান্তা একটি গার্মেন্টস এ শ্রমিকের কাজ করেন। স্থানীয়দের কাছে থেকে জানা যায় , রাত প্রায়  ১২টার দিকে হঠাৎ কুববাত এর বাড়িতে বিকট আওয়াজ শোনা যায়। বাড়ির মালিক কুববাত ও স্থানীয়রা এসে দেখে বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে আগুন লেগে গেছে। কক্ষটিতে থাকা  দগ্ধ দম্পতিকে বের করে আনা হয়। সে সময় তাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে গেছে। স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন। ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল রানা জানান, বাড়িটিতে তিতাসের গ্যাস সংযোগ থাকলেও আসিফ ও শান্তা গ্যাস সংকট থাকার কারনে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতেন। সিলিন্ডারটি অক্ষত পাওয়া গেলেও গ্যাস পরিবাহী পাইপ পোড়া পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি কক্ষ ও  বাড়ির দেয়াল গ্যাস বিস্ফোরণে ভেঙে পড়েছে। তবে  তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে আসলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে । বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনষ্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। রজ্জব আলী নামে কুববাত এর বাড়ির এক ভাড়াটিয়া বলেন, বিকট আওয়াজ শুনে আমরা এসে দেখি আগুন লেগেছে। তারপর আগুন নেভাই অনেক কষ্ট করে। ঔই কক্ষে থাকা আসিফ ও শান্তাকে বের করে আনা হয়। দেখি তাদের শরীরের অনেক জায়গা ঝলসে গেছে। পরে সকলে মিলে তাদের  হাসপাতালে নেওয়া হয়। বাড়ির মালিক কুববাত আলী বলেন, আমি জানতাম না গ্যাস লাইনে সমস্যা আছে। গ্যাস বিস্ফোরণে নিচ তলার ভাড়াটিয়া আসিফ ও শান্তা ক্ষতি হয়েছে। তারা দুইজনই ভাড়াটিয়া। তবে এর আগেও আপনার বাড়িতে একই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু আপনি কেন কোন ব্যবস্থা নেন নি এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দেন নি।
সজিব, সোহেল সহ  একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আসি কি ঘটনা ঘটেছে। এসে দেখি ওই ভাড়াটিয়ার কক্ষ থেকে   ধোঁয়া বের হচ্ছে । এরপর দরজা ভেঙে  পোড়া অবস্থায় নারী পুরুষ দুইজনকে বের করে আনা হয় । তারা ছিলেন স্বামী স্ত্রী । দেখি তাদের মাথার চুল ও চামড়া ঝলসে গেছে। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি এবং তাদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় । ধামরাই থানার এসআই শামীম হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে দেখি ঘরবাড়ি ভাঙা। তবে দগ্ধ স্বামী স্ত্রীকে পাইনি। যতটুকু জানতে পেরেছি দগ্ধ দুইজনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার  মির্জাপুর উপজেলার বাসিন্দা। তাদের স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় পরে অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। গ্যাস লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। প্রসঙ্গত ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী কুববাত এর বাড়িতে ঐই একই কক্ষে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের গার্মেন্টস কর্মী মঞ্জুরুলসহ তার পরিবারের ৫ জনই মারা গিয়েছিল।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণ স্বামী স্ত্রী দগ্ধ হাসপাতালে ভর্তি মোস্তাফিজুর রহমান

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণে আসিফ (২৮) ও শান্তা(২১) নামে স্বামী স্ত্রী দগ্ধ হয়ে বর্তমানে   ঢাকার জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার রাত প্রায় ১২ টার দিকে এই গ্যাস লিকেজের ঘটনা ঘটেছে। ধামরাই পৌরসভার কুমড়াইল মহল্লায় কুববাত এর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। দগ্ধ স্বামী স্ত্রী কুববাত এর বাড়ির নিচ তলার ভাড়াটিয়া। আহত দগ্ধ স্বামী স্ত্রী টাঙ্গাইল জেলার  মির্জাপুর উপজেলার বাসিন্দা। আসিফ পেশায় একজন রিকশাচালক ও  স্ত্রী শান্তা একটি গার্মেন্টস এ শ্রমিকের কাজ করেন। স্থানীয়দের কাছে থেকে জানা যায় , রাত প্রায়  ১২টার দিকে হঠাৎ কুববাত এর বাড়িতে বিকট আওয়াজ শোনা যায়। বাড়ির মালিক কুববাত ও স্থানীয়রা এসে দেখে বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে আগুন লেগে গেছে। কক্ষটিতে থাকা  দগ্ধ দম্পতিকে বের করে আনা হয়। সে সময় তাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে গেছে। স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন। ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল রানা জানান, বাড়িটিতে তিতাসের গ্যাস সংযোগ থাকলেও আসিফ ও শান্তা গ্যাস সংকট থাকার কারনে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতেন। সিলিন্ডারটি অক্ষত পাওয়া গেলেও গ্যাস পরিবাহী পাইপ পোড়া পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি কক্ষ ও  বাড়ির দেয়াল গ্যাস বিস্ফোরণে ভেঙে পড়েছে। তবে  তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে আসলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে । বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনষ্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। রজ্জব আলী নামে কুববাত এর বাড়ির এক ভাড়াটিয়া বলেন, বিকট আওয়াজ শুনে আমরা এসে দেখি আগুন লেগেছে। তারপর আগুন নেভাই অনেক কষ্ট করে। ঔই কক্ষে থাকা আসিফ ও শান্তাকে বের করে আনা হয়। দেখি তাদের শরীরের অনেক জায়গা ঝলসে গেছে। পরে সকলে মিলে তাদের  হাসপাতালে নেওয়া হয়। বাড়ির মালিক কুববাত আলী বলেন, আমি জানতাম না গ্যাস লাইনে সমস্যা আছে। গ্যাস বিস্ফোরণে নিচ তলার ভাড়াটিয়া আসিফ ও শান্তা ক্ষতি হয়েছে। তারা দুইজনই ভাড়াটিয়া। তবে এর আগেও আপনার বাড়িতে একই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু আপনি কেন কোন ব্যবস্থা নেন নি এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দেন নি।
সজিব, সোহেল সহ  একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আসি কি ঘটনা ঘটেছে। এসে দেখি ওই ভাড়াটিয়ার কক্ষ থেকে   ধোঁয়া বের হচ্ছে । এরপর দরজা ভেঙে  পোড়া অবস্থায় নারী পুরুষ দুইজনকে বের করে আনা হয় । তারা ছিলেন স্বামী স্ত্রী । দেখি তাদের মাথার চুল ও চামড়া ঝলসে গেছে। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি এবং তাদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় । ধামরাই থানার এসআই শামীম হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে দেখি ঘরবাড়ি ভাঙা। তবে দগ্ধ স্বামী স্ত্রীকে পাইনি। যতটুকু জানতে পেরেছি দগ্ধ দুইজনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার  মির্জাপুর উপজেলার বাসিন্দা। তাদের স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় পরে অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। গ্যাস লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। প্রসঙ্গত ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী কুববাত এর বাড়িতে ঐই একই কক্ষে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের গার্মেন্টস কর্মী মঞ্জুরুলসহ তার পরিবারের ৫ জনই মারা গিয়েছিল।