
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ঃ০০ টায় বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তারা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে শওকাত হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত আফজাল হাওলাদার, হেদায়েত হাওলাদার, কাদের হাওলাদার, জাকির হাজরা, আলমগীর হাওলাদার, কবির হাওলাদার সহ সকল সন্ত্রাসীর ফাঁসি দাবি করে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় নিহত বিএনপি নেতা শওকত হোসেনের ভাই ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ লিয়াকত হোসেন উপস্থিত ছিলেন। ১১ ই ফেব্রুয়ারি বেলা বারোটার দিকে শহরের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়িতে যাওয়ার পথে দেপাড়া বাজারে আতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন বিএনপি নেতা শওকত হোসেন, লিয়াকত হোসেন সহ ২০-২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শওকাত হোসেনকে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ এবং পরবর্তীতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ওইদিন বিকেলে জেলা সদরের দেপাড়া বাজারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে নিহতের স্বজন ও স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীরা। ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও হামলা করে আফজাল হোসেনের সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজকের সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা সন্ত্রাসী আফজাল হোসেনসহ তার সহযোগীদের ফাঁসি দাবি করেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল হাওলাদার, ধোপাখালি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আমিরুজ্জামান টুকু, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আফজাল খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব হোসেন, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল মল্লিক, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোঃ লিপু, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ অলিউর রহমান, সহ-সভাপতি আফজাল খান, ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমানসহ বিএনপি’র নেতাকর্মীও সমর্থক বৃন্দ।