০১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জ ইফতার বাজারে ছোলা-পেঁয়াজু’র ক্রেতাই বেশি

  • তুর্য দাস
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • 46

সুনামগঞ্জ শহরের ইফতার বাজারে ছোলা, পেঁয়াজুর ক্রেতাই বেশি। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ, দরিদ্র-দিনমজুর শ্রেণির মানুষেরা এই দুই পদের ইফতারি নিয়েই বাড়ি ফিরছেন।

৫০ টাকার ছোলা এবং ২০ টাকার পেঁয়াজু সাথে মুড়ি নিয়ে ইফতারের বাজার সেরেছেন রিকশা চালক মাসুক মিয়া। তিনি বললেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশি, চাইলেও ভালো কিছু কিনতে পারি না।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকালে রমজানের তৃতীয় দিনে নানা জাতের ইফতার সাজিয়ে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন, পৌর বিপণি,  স্টেশনরোড, কাজির পয়েন্ট, ওয়াজখালিসহ কয়েকটি এলাকায় বসেছেন ইফতার বিক্রেতারা।

এসব স্থানে সাধারনত আলুর চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু , শাকপুলি, কাঁচা মরিছ বড়া, সবজি চপ, চিকেন চপ, ডিমের চপ, চিকেন ফ্রাই, বুন্দিয়া, জিলিপি, মোরগ পোলাও, কাচ্চি বিরিয়ানি, হালিম, সুতি কাবাব, টিক্কা কাবাব, জালি কাবাব, শাহী জর্দা, শাহী জিলিপি সহ নানা ধরনের ইফতার সাঝানো ছিল।

জোহরের নামাজ শেষে ইফতার কিনে তাড়াতাড়ি বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতিও ছিল  ক্রেতাদের। ক্রেতা বিক্রেতাদের আলাপচারিতা, হাকডাকের মধ্য দিয়ে  সোমবারও সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকার ইফতার বাজার জমজমাট ছিল।

হাজিপাড়ার বাসিন্দা হাবিবুর আলম বলেন, ব্যস্ততা ও নানা ঝামেলার কারণে প্রতিবারই রোজায় ইফতারের জন্য কিছু আইটেম বাহির থেকে কিনতে হয়। এবারে বেচাকেনা তুলনামূলক ভালো দেখলাম, তবে দামটা একটু বেশি, বিকেল চারটা থেকে শহরের ছোটখাটো বহু দোকান ঘুরে দেখেছি। ইফতারের বাজারে আইটেম অন্যবারের মতো একই থাকলেও প্রথম রোজা থেকেই ক্রেতা সমাগম বেশি দেখেছি।

ইফতার ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, তার ছোট দোকানে ২০ থেকে ২৫ টায় পাওয়া যায় ইফতারের প্যাকেট। প্যাকেটে মুড়ি, পেঁয়াজুও জিলাপি আছে। দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষেরা তার ওখানেই ভিড় করছেন বেশি।
হক রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মুন্না পাটুয়ারি’র দাবি, বেশি ক্রেতা তাদের এখানেই। সবার ভরসা আস্থা রয়েছে তাদের প্রতি।

শাহী কাচ্চি এন্ড রেস্টুরেন্টের বিক্রেতা বিল্লু রহমান বললেন, প্রতি বছরই ইফতারি বিক্রি করি। মানুষ সাধারণত আসরের নামাজ পড়ে ইফতারি কিনতে আসতে শুরু করে। ইফতারের এক ঘণ্টা আগে থেকে ভিড় জমতে শুরু হয়। আধা ঘণ্টা আগে বেশি ভিড় হয়। সবচেয়ে বেশি বিক্রির তালিকায় আছে  পেঁয়াজু, ছোলা, আর বেগুনি।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কটিয়াদী উপজেলায় বিএনপি’র রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দ্বাবিতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ও গণসংযোগ করেন সাবেক* *জি,এস,আলহাজ্ব আহমেদ ফারুক খোকন

সুনামগঞ্জ ইফতার বাজারে ছোলা-পেঁয়াজু’র ক্রেতাই বেশি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

সুনামগঞ্জ শহরের ইফতার বাজারে ছোলা, পেঁয়াজুর ক্রেতাই বেশি। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ, দরিদ্র-দিনমজুর শ্রেণির মানুষেরা এই দুই পদের ইফতারি নিয়েই বাড়ি ফিরছেন।

৫০ টাকার ছোলা এবং ২০ টাকার পেঁয়াজু সাথে মুড়ি নিয়ে ইফতারের বাজার সেরেছেন রিকশা চালক মাসুক মিয়া। তিনি বললেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশি, চাইলেও ভালো কিছু কিনতে পারি না।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকালে রমজানের তৃতীয় দিনে নানা জাতের ইফতার সাজিয়ে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন, পৌর বিপণি,  স্টেশনরোড, কাজির পয়েন্ট, ওয়াজখালিসহ কয়েকটি এলাকায় বসেছেন ইফতার বিক্রেতারা।

এসব স্থানে সাধারনত আলুর চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু , শাকপুলি, কাঁচা মরিছ বড়া, সবজি চপ, চিকেন চপ, ডিমের চপ, চিকেন ফ্রাই, বুন্দিয়া, জিলিপি, মোরগ পোলাও, কাচ্চি বিরিয়ানি, হালিম, সুতি কাবাব, টিক্কা কাবাব, জালি কাবাব, শাহী জর্দা, শাহী জিলিপি সহ নানা ধরনের ইফতার সাঝানো ছিল।

জোহরের নামাজ শেষে ইফতার কিনে তাড়াতাড়ি বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতিও ছিল  ক্রেতাদের। ক্রেতা বিক্রেতাদের আলাপচারিতা, হাকডাকের মধ্য দিয়ে  সোমবারও সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকার ইফতার বাজার জমজমাট ছিল।

হাজিপাড়ার বাসিন্দা হাবিবুর আলম বলেন, ব্যস্ততা ও নানা ঝামেলার কারণে প্রতিবারই রোজায় ইফতারের জন্য কিছু আইটেম বাহির থেকে কিনতে হয়। এবারে বেচাকেনা তুলনামূলক ভালো দেখলাম, তবে দামটা একটু বেশি, বিকেল চারটা থেকে শহরের ছোটখাটো বহু দোকান ঘুরে দেখেছি। ইফতারের বাজারে আইটেম অন্যবারের মতো একই থাকলেও প্রথম রোজা থেকেই ক্রেতা সমাগম বেশি দেখেছি।

ইফতার ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, তার ছোট দোকানে ২০ থেকে ২৫ টায় পাওয়া যায় ইফতারের প্যাকেট। প্যাকেটে মুড়ি, পেঁয়াজুও জিলাপি আছে। দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষেরা তার ওখানেই ভিড় করছেন বেশি।
হক রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মুন্না পাটুয়ারি’র দাবি, বেশি ক্রেতা তাদের এখানেই। সবার ভরসা আস্থা রয়েছে তাদের প্রতি।

শাহী কাচ্চি এন্ড রেস্টুরেন্টের বিক্রেতা বিল্লু রহমান বললেন, প্রতি বছরই ইফতারি বিক্রি করি। মানুষ সাধারণত আসরের নামাজ পড়ে ইফতারি কিনতে আসতে শুরু করে। ইফতারের এক ঘণ্টা আগে থেকে ভিড় জমতে শুরু হয়। আধা ঘণ্টা আগে বেশি ভিড় হয়। সবচেয়ে বেশি বিক্রির তালিকায় আছে  পেঁয়াজু, ছোলা, আর বেগুনি।