০১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সদরপুরে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন

 

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ব্ল্যাক ডায়মন্ড বলে খ্যাত পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে সুখের হাসি। একসময় পিঁয়াজের বীজ বিদেশ থেকে আমদানী করে আবাদ করা হতো। কিন্ত এখন আর আমদানী করতে হয়না। আমাদের দেশেই প্রচুর পরিমানে চাষ হয় পিঁয়াজ এবং পিঁয়াজ বীজের। যা দেশের চাহিদা পুরণ করার পরেও রপ্তানি হচ্ছে দেশের বাইরে। সারাদেশের মধ্যে ফরিদপুরে সবচেয়ে বেশি  উৎপাদিত হয়  ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত  পিঁয়াজ বীজের। উপযোগী আবহাওয়া এবং মাটির উর্বরতা ভালো থাকায় ফরিদপুরে পিঁয়াজ বীজে উৎপাদনের সুনাম রয়েছে দীর্ঘদিনের। চলতি মৌসুমে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গত বছরের চেয়ে অধিক  জমিতে আবাদ করা হয়েছে পিঁয়াজ বীজে। সঠিক পরিচর্যা এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর পিঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় স্থানীয় কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝলক । পিঁয়াজ বীজ উৎপাদনে দেশের মধ্যে অন্যতম স্থান হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ফরিদপুর জেলার। প্রতি বছরই প্রচুর পরিমান পিঁয়াজ এবং পিঁয়াজের বীজ উৎপাদিত হয়ে আসছে ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলায়। তবে স্থানীয় হাট বাজার গুলোতে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট থাকার কারনে পিঁয়াজের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত  হওয়ার কারনে কিছুটা চাপা ক্ষোভ রয়েছে  পিঁয়াজ চাষীদের মনে। তবে উৎপাদন ভালো হওয়ায় প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে পিঁয়াজের আবাদ এমনটাও বলছেন অনেক কৃষক।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলায় প্রায় ৪ শত হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছে । যা গত বছরের চাইতে ৪৫ হেক্টর বেশি। পিঁয়াজের বীজ চাষ অব্যাহত রাখতে  চাষীদের সার্বিক সহযোগিতা, বীনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা ছারাও কৃষকদের দেওয়া হয় মৌলিক প্রশিক্ষণ।  আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সময় মতো বীজ্ব বপন, সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ করা এবং কৃষি অফিসের তদারকির কারনে সদরপুর উপজেলায় বিভিন্ন অঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে বাতাসের সাথে দোল খাচ্ছে সাদা সাদা পিঁয়াজ বীজের ফুল। আর এই পিয়াজ বীজের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। সদরপুর উপজেলার একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়  প্রতি বিঘা (৪২শতক) জমিতে ৮/৯ মন পিঁয়াজের গুটি বপন করতে হয়। সার, বিজ ও কীটনাশক এবং পরিচর্যা মিলিয়ে মোট খরচ হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় পিঁয়াজ বীজ উৎপাদিত হয় প্রায় ৫ থেকে ৬ মন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা।গত বছর পিঁয়াজ বীজের মূল্য বেশী  পাওয়ার কারনে এ বছর চাষীরা আরো বেশি পরিমান জমিতে পিঁয়াজ বীজের আবাদ করেছেন। তবে স্থানীয় পিয়াজ বীজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের  কারণে চাষিরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় ভুগছে, যদি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সু-দৃষ্টি দেন তবে, আগামীতে আরো বেশি জমিতে পিঁয়াজ চাষে আগ্রহী হবেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে পিঁয়াজ বীজের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার পিঁয়াজ বীজ চাষীরা।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কটিয়াদী উপজেলায় বিএনপি’র রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দ্বাবিতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ও গণসংযোগ করেন সাবেক* *জি,এস,আলহাজ্ব আহমেদ ফারুক খোকন

সদরপুরে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:১৮:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ব্ল্যাক ডায়মন্ড বলে খ্যাত পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে সুখের হাসি। একসময় পিঁয়াজের বীজ বিদেশ থেকে আমদানী করে আবাদ করা হতো। কিন্ত এখন আর আমদানী করতে হয়না। আমাদের দেশেই প্রচুর পরিমানে চাষ হয় পিঁয়াজ এবং পিঁয়াজ বীজের। যা দেশের চাহিদা পুরণ করার পরেও রপ্তানি হচ্ছে দেশের বাইরে। সারাদেশের মধ্যে ফরিদপুরে সবচেয়ে বেশি  উৎপাদিত হয়  ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত  পিঁয়াজ বীজের। উপযোগী আবহাওয়া এবং মাটির উর্বরতা ভালো থাকায় ফরিদপুরে পিঁয়াজ বীজে উৎপাদনের সুনাম রয়েছে দীর্ঘদিনের। চলতি মৌসুমে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গত বছরের চেয়ে অধিক  জমিতে আবাদ করা হয়েছে পিঁয়াজ বীজে। সঠিক পরিচর্যা এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর পিঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় স্থানীয় কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝলক । পিঁয়াজ বীজ উৎপাদনে দেশের মধ্যে অন্যতম স্থান হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ফরিদপুর জেলার। প্রতি বছরই প্রচুর পরিমান পিঁয়াজ এবং পিঁয়াজের বীজ উৎপাদিত হয়ে আসছে ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলায়। তবে স্থানীয় হাট বাজার গুলোতে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট থাকার কারনে পিঁয়াজের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত  হওয়ার কারনে কিছুটা চাপা ক্ষোভ রয়েছে  পিঁয়াজ চাষীদের মনে। তবে উৎপাদন ভালো হওয়ায় প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে পিঁয়াজের আবাদ এমনটাও বলছেন অনেক কৃষক।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলায় প্রায় ৪ শত হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছে । যা গত বছরের চাইতে ৪৫ হেক্টর বেশি। পিঁয়াজের বীজ চাষ অব্যাহত রাখতে  চাষীদের সার্বিক সহযোগিতা, বীনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা ছারাও কৃষকদের দেওয়া হয় মৌলিক প্রশিক্ষণ।  আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সময় মতো বীজ্ব বপন, সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ করা এবং কৃষি অফিসের তদারকির কারনে সদরপুর উপজেলায় বিভিন্ন অঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে বাতাসের সাথে দোল খাচ্ছে সাদা সাদা পিঁয়াজ বীজের ফুল। আর এই পিয়াজ বীজের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। সদরপুর উপজেলার একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়  প্রতি বিঘা (৪২শতক) জমিতে ৮/৯ মন পিঁয়াজের গুটি বপন করতে হয়। সার, বিজ ও কীটনাশক এবং পরিচর্যা মিলিয়ে মোট খরচ হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় পিঁয়াজ বীজ উৎপাদিত হয় প্রায় ৫ থেকে ৬ মন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা।গত বছর পিঁয়াজ বীজের মূল্য বেশী  পাওয়ার কারনে এ বছর চাষীরা আরো বেশি পরিমান জমিতে পিঁয়াজ বীজের আবাদ করেছেন। তবে স্থানীয় পিয়াজ বীজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের  কারণে চাষিরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় ভুগছে, যদি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সু-দৃষ্টি দেন তবে, আগামীতে আরো বেশি জমিতে পিঁয়াজ চাষে আগ্রহী হবেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে পিঁয়াজ বীজের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার পিঁয়াজ বীজ চাষীরা।