
রামপালের গিলেতলা বাজারের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী একরামুল কবির লিমন (৩৪) কে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিমনের ভাই শেখ ইমরান বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় এজাহার দায়েরের আবেদন করলে তদন্তের দোহায় দিয়ে মামলা নিতে গড়িমসি করছে পুলিশ। আবারও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছেন ইমরান ও তার পরিবার। আহত লিমন রামপাল উপজেলার বাঁশতলী এলাকার শেখ জালাল উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাঁশতলি এলাকার মুক্ত সরদার, কাঞ্চন সরদার, তুহিন শেখ, ফিরোজ সরদার, জিহাদ সরদার, আবু দায়ান শেখ, বক্কার শেখ, মনির তালুকদার, সাগর শিকদার, কবির শেখ, সেখ সুজাত আলী সহ ৯-১০ জন সন্ত্রাসী ২৭ ফেব্রুয়ারি বাঁশতলি মাদারতলা এলাকার আকরামের চায়ের দোকানের সামনে লিমনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে মারপিট শুরু করে। সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিমন জানান, সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বিগত দিনে তারা আওয়ামীলীগের সাথে আঘাত করে ব্যবসা-বাণিজ্য, ঘের ইত্যাদি ঠিক রেখেছে। তারা এখন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি ও ঘের দখল করছে। প্রতিনিয়ত তারা আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি দিতেছে। আমরা সকলেই প্রাণভয়ে আছি। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা আমার উপর আক্রমণ চালিয়েছিল। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এজাহার না নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছে।আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম রেজা বলেন, শেখ ইমরানের একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।