
জিগজাগ ইটভাটা মালিকদের হয়রানি বন্ধে ৭ দফা দাবিতে ঢাকার ধামরাইয়ে মানববন্ধন করেছেন। এর পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ধামরাই উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই মানববন্ধন করা হয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে ইট ভাটা মালিক সমিতির নেতারা বলেন, ইট প্রস্ততের সঙ্গে প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ শ্রমিক কর্মচারী জড়িত আছেন। বিভিন্ন সময় অভিযানের নামে বিভিন্ন ইটভাটায় হানা দিয়ে জরিমানা আদায় করাসহ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ইট ভাটায় মোবাইল কোট, জরিমানা, ভাঙচুরসহ সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। না হলে আমরা রাজপথে যাবো, আমরা আন্দোলনে যাবো।
মানববন্ধনে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিক মিলে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করে তাদের বিভিন্ন বক্তব্য পেশ করেন।
ধামরাই উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতা আবুল হোসেন ও মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ধামরাই উপজেলায় ইটভাটা মালিকরা বিগত ৩৫-৪০ বছর যাবৎ নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এ পেশার সঙ্গে কয়েক লক্ষ নারী-পুরুষ জড়িত। যদি এই মূহুর্তে ভাটা বন্ধ হয়ে যায় মালিকসহ শ্রমিকরা রাস্তায় বসে যাবে। সরকার নানা অজুহাতে ইটভাটা বন্ধের চক্রান্ত করছে। এমন হতে দেওয়া যাবে না। ইট ভাটা ব্যবসাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।
তারা আরো বলেন, সরকারী যে কোন দিবস পালন অনুষ্ঠানে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকি। আমাদের সামনে আরো ৩ মাস সময় দিতে হবে। আমাদের যেন আর নি:স্ব না করে। ৩ মাস পর আমরা নিজেরা থেকে অবৈধ ইট ভাটা যা আছে প্রশাসনের সাথে থেকে ভেঙে দিবো। এখন বলছেন অবৈধ ইট ভাটা। কিন্তু অবৈধ হলে ভ্যাট ট্র্যাক্স নেন কেন। প্রতিটি ভাটা থেকে ৫ লক্ষ করে ভ্যাট কেন নেন সরকারি ভ্যাট কর্মকর্তারা। আমরা ইউএনও এর মাধ্যমে উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছি। এরপরও যদি জিগজাগ ইট ভাটায় অভিযান চালানো হয় তাহলে আন্দোলনে নামারও ঘোষণা দেন ভাটা মালিকরা।
এই মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন মোজাহিদ হোসেন, মনির হোসেন, মাসুদুর রহমান প্রমুখ। এ সময় প্রায় এক শহস্রাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
ধামরাইয়ে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত জিগজাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জন্য ৭ দফা দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয় ভাটা মালিকরা। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনিক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, আমি স্মারক লিপি পেয়েছি। উপদেষ্টা বরাবর পাঠিয়েও দিয়েছি। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কাজ চলবে। কারণ আইন আইনের পথেই চলবে।