১১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারবালার স্মরণে ঢাকায় শোকের তাজিয়া মিছিল

আজ ৬ জুলাই রোজ রবিবার কারবালার ঘটনার স্মরণে ঢাকায় পালিত হয়েছে পবিত্র আশুরা। এই উপলক্ষে শিয়া মুসলমানরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শোকের তাজিয়া মিছিল আয়োজন করেন।
রবিবার সকালে পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক হোসাইনী দালান প্রাঙ্গণে জড়ো হন হাজারো মানুষ। সকাল ১০টার দিকে সেখান থেকে প্রধান তাজিয়া মিছিলটি শুরু হয়। কালো পোশাকে, মাথায় কালো ফেট্টি বাঁধা, হাতে লাল, কালো ও সোনালি রঙের ঝাণ্ডা নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন শোক মিছিলে।
মিছিলের অগ্রভাগে ছিল ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেনের দুটি প্রতীকী ঘোড়া এবং কালো মখমলের ছায়াতলে ইমাম হোসেনের প্রতীকী কফিন। অংশগ্রহণকারীরা খালি পায়ে হেঁটে বুক চাপড়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ বলে মাতম করতে করতে মিছিলটি এগিয়ে যায়।মিছিলটি ইমামবাড়া থেকে বের হয়ে হোসাইনী দালান রোড, বকশীবাজার লেন, আলিয়া মাদ্রাসা রোড, উমেশ দত্ত রোড, হরনাথ ঘোষ রোড, আজিমপুর, নিউ মার্কেট ও নীলক্ষেত হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত যায়। সেখান থেকে ধানমণ্ডি লেকের পাশে নির্মিত প্রতীকী ‘কারবালা’তে গিয়ে শোকানুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
মিছিলের সামনে ও পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যাতে অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।
শুধু হোসাইনী দালানই নয়—বড় কাটরা, বিবিকা রওজা, মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্প, মিরপুর পল্লবী বিহারী ক্যাম্প, শিয়া মসজিদসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়ও আশুরা উপলক্ষে নানা আয়োজন করে শিয়া সম্প্রদায়।
ইসলামি বর্ষপঞ্জির ১০ মহররম পবিত্র আশুরা। এই দিনে ৬১ হিজরিতে (৬৮০ খ্রিস্টাব্দ) ইরাকের কারবালা প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) শহীদ হন। শোক ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবে দিনটি বিশেষভাবে পালন করেন শিয়া মুসলমানরা।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সিরাজগঞ্জ তাড়াশে সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

কারবালার স্মরণে ঢাকায় শোকের তাজিয়া মিছিল

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:১৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
আজ ৬ জুলাই রোজ রবিবার কারবালার ঘটনার স্মরণে ঢাকায় পালিত হয়েছে পবিত্র আশুরা। এই উপলক্ষে শিয়া মুসলমানরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শোকের তাজিয়া মিছিল আয়োজন করেন।
রবিবার সকালে পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক হোসাইনী দালান প্রাঙ্গণে জড়ো হন হাজারো মানুষ। সকাল ১০টার দিকে সেখান থেকে প্রধান তাজিয়া মিছিলটি শুরু হয়। কালো পোশাকে, মাথায় কালো ফেট্টি বাঁধা, হাতে লাল, কালো ও সোনালি রঙের ঝাণ্ডা নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন শোক মিছিলে।
মিছিলের অগ্রভাগে ছিল ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেনের দুটি প্রতীকী ঘোড়া এবং কালো মখমলের ছায়াতলে ইমাম হোসেনের প্রতীকী কফিন। অংশগ্রহণকারীরা খালি পায়ে হেঁটে বুক চাপড়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ বলে মাতম করতে করতে মিছিলটি এগিয়ে যায়।মিছিলটি ইমামবাড়া থেকে বের হয়ে হোসাইনী দালান রোড, বকশীবাজার লেন, আলিয়া মাদ্রাসা রোড, উমেশ দত্ত রোড, হরনাথ ঘোষ রোড, আজিমপুর, নিউ মার্কেট ও নীলক্ষেত হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত যায়। সেখান থেকে ধানমণ্ডি লেকের পাশে নির্মিত প্রতীকী ‘কারবালা’তে গিয়ে শোকানুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
মিছিলের সামনে ও পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যাতে অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।
শুধু হোসাইনী দালানই নয়—বড় কাটরা, বিবিকা রওজা, মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্প, মিরপুর পল্লবী বিহারী ক্যাম্প, শিয়া মসজিদসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়ও আশুরা উপলক্ষে নানা আয়োজন করে শিয়া সম্প্রদায়।
ইসলামি বর্ষপঞ্জির ১০ মহররম পবিত্র আশুরা। এই দিনে ৬১ হিজরিতে (৬৮০ খ্রিস্টাব্দ) ইরাকের কারবালা প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) শহীদ হন। শোক ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবে দিনটি বিশেষভাবে পালন করেন শিয়া মুসলমানরা।