
নড়াইলের লোহাগড়ায় আলোচিত ছাত্র আন্দোলনের মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে স্থানীয় জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে ।
জানাগেছে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-পর লোহাগড়া থানায় এজাহার ভুক্ত আসামি এড়েন্দা গ্রামের মো. জিল্লুর রহমানকে ৫ জুলাই রাতে লোহাগড়া থানার এসআই তারেক রহমান ওএ এসআই ইলিয়াস এড়েন্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করেন। কিন্তু থানায় না এনে, নগদ ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং আরও ১০ হাজার টাকা বকেয়া রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ মামলার বাদী কাজী ইয়াজুর রহমান বাবুর।
বাদী ইয়াজুর রহমান বাবু তার নিজেস্ব ফেজবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার মূখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমান বাবুর দায়েরকৃত মামলার আসামি। আসামি মোঃ জিল্লুর রহমান পিতাঃ অজ্ঞাত, গ্রামঃ এড়েন্দা, লোহাগড়া, নড়াইল।
তাকে লোহাগড়া থানায় কর্মরত এ এস আই ইলিয়াস এবং এএসআই তারেক ০৫ জুলাই রাতে এড়েন্দা থেকে আটক করে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। ৩০হাজার টাকা পরিশোধ করে বাকি ১০ হাজার টাকা রয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বাকি ১০ হাজার টাকা আমার এক পরিচিত ভাইয়ের কাছে রেখে গেছে আসামি, টাকাটা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ
বাদী ইয়াজুর রহমান বাবু আরও জানান, এই ঘটনার বিরুদ্ধে তিনি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করবেন এবং বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলে জানাবেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন,“বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে আমি তদন্ত করে দেখছি।” তাছাড়া গত দুইদিন আমি একটি ডাকাতি মামলার আসামি তুষারকে ধরার জন্য ঢাকা এবং লোহাগড়াতে ব্যস্ত ছিলাম।
তবে অভিযুক্ত এসআই ও এএসআই-এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কেউ ফোন ধরেননি।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের সঙ্গে এই ‘লেনদেনের’ খবর ফাঁস হওয়ায় তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলছেন—এ ধরনের ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
রাজনৈতিক সচেতন মহল সহ স্থানীয়রা বলছেন—“আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি ঘুষের বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দেন, তাহলে দেশে আইনের শাসনের চরম অবনতি ঘটবে।কারন টাকার বিনিময়ে যে কোন ধরনের অপরাধ কর্মে লিপ্ত হবে।
এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবী জানান।