১২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে আঃ শহীদ মিয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার

  • নাজিম উদ্দিন
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৪৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • 13

লালমোহন উপজেলার মোতাহার নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়ার বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে  চলমান অবস্থা বিরাজ করছে
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) লালমোহন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন শহীদ মিয়া। জিডির তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে লালমোহনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া কাগজপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে, যেখানে শহীদ মিয়াকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।বুধবার (২৩ জুলাই) শহীদ মিয়া জিডির কপি হাতে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পুরো বিষয়টি তাঁকে অবহিত করেন।
এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা রয়েছে— এমন প্রশ্নের উত্তরে শহীদ মিয়া বলেন, “আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষেরাই হয়তো এমন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তবে আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে অভিযুক্ত করছি না।”শহীদ মিয়া আরও বলেন, “আমি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। লালমোহনের মাটি ও মানুষের নেতা আলহাজ্ব (অবঃ) মেজর হাফিজ স্যারের সঙ্গে রাজনীতির পথচলা দীর্ঘদিনের। তিনি ও বাবুল পঞ্চায়েত আমার অবদান ও রাজপথের ভূমিকা বিবেচনায় আমাকে মোতাহার নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি কারো পা চেটে পদ পদবী নেইনি।”তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আপনাদের দুদিনের রাজনীতিতে কার অবদান কতটুকু, তা কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরাও জানেন। তাই কাদা ছোড়াছুড়ি না করে আসুন, সবাই মিলে আলহাজ্ব মেজর হাফিজ স্যারের হাতকে আরও শক্তিশালী করি এবং তাঁকে সপ্তমবারের মতো এমপি বানিয়ে সংসদে পাঠাই।”শহীদ মিয়া শেষ পর্যন্ত প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “আমি সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ।”
এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সদরপুরে কার ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির কমিটি গঠন

লালমোহনে আঃ শহীদ মিয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৪৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

লালমোহন উপজেলার মোতাহার নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়ার বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে  চলমান অবস্থা বিরাজ করছে
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) লালমোহন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন শহীদ মিয়া। জিডির তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে লালমোহনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া কাগজপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে, যেখানে শহীদ মিয়াকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।বুধবার (২৩ জুলাই) শহীদ মিয়া জিডির কপি হাতে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পুরো বিষয়টি তাঁকে অবহিত করেন।
এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা রয়েছে— এমন প্রশ্নের উত্তরে শহীদ মিয়া বলেন, “আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষেরাই হয়তো এমন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তবে আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে অভিযুক্ত করছি না।”শহীদ মিয়া আরও বলেন, “আমি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। লালমোহনের মাটি ও মানুষের নেতা আলহাজ্ব (অবঃ) মেজর হাফিজ স্যারের সঙ্গে রাজনীতির পথচলা দীর্ঘদিনের। তিনি ও বাবুল পঞ্চায়েত আমার অবদান ও রাজপথের ভূমিকা বিবেচনায় আমাকে মোতাহার নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি কারো পা চেটে পদ পদবী নেইনি।”তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আপনাদের দুদিনের রাজনীতিতে কার অবদান কতটুকু, তা কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরাও জানেন। তাই কাদা ছোড়াছুড়ি না করে আসুন, সবাই মিলে আলহাজ্ব মেজর হাফিজ স্যারের হাতকে আরও শক্তিশালী করি এবং তাঁকে সপ্তমবারের মতো এমপি বানিয়ে সংসদে পাঠাই।”শহীদ মিয়া শেষ পর্যন্ত প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “আমি সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ।”
এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।