১২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে লাম্পি স্কিন রোগে ৭২ গরুর মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। জেলার পাঁচটি উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, আক্রান্ত গরুর সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর হার আরও বাড়তে পারে। এ রোগের কার্যকর প্রতিষেধক না থাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ কৃষক ও খামারিরা।জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত গরুগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৪২৮টি গরু বিভিন্ন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাস্তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি।সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল  বলেন, “আমার দুটি গরু ছিল। হঠাৎ দেখি শরীরে দানা দানা ফোসকা উঠছে, জ্বরও আসে। খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বাজারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগও পাইনি, পাঁচ দিনের মধ্যে একটা মারা গেল। আরেকটাও খুবই দুর্বল। মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি।”
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার খামারি মাসুদ রানা বলেন,“দশটি গরু নিয়ে খামার শুরু করেছিলাম। এর মধ্যে তিনটি আক্রান্ত। একটা মারা গেছে। বাকি দুটোও ভালো না। ডাক্তার এসে শুধু বলছে আলাদা করে রাখতে, নাপা খাওয়াতে। এত বড় গরুকে নাপা দিলে কি হবে?”জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইজহার আহমেদ খান বলেন, “লাম্পি ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক রোগ। আক্রান্ত পশুর কাছ থেকে অন্য পশুতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এ রোগের প্রতিষেধক নেই। তবে আমরা নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছি এবং আক্রান্ত গরু আলাদা করে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।”
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সদরপুরে কার ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির কমিটি গঠন

ঠাকুরগাঁওয়ে লাম্পি স্কিন রোগে ৭২ গরুর মৃত্যু

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৪৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
ঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। জেলার পাঁচটি উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, আক্রান্ত গরুর সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর হার আরও বাড়তে পারে। এ রোগের কার্যকর প্রতিষেধক না থাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ কৃষক ও খামারিরা।জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত গরুগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৪২৮টি গরু বিভিন্ন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাস্তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি।সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল  বলেন, “আমার দুটি গরু ছিল। হঠাৎ দেখি শরীরে দানা দানা ফোসকা উঠছে, জ্বরও আসে। খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বাজারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগও পাইনি, পাঁচ দিনের মধ্যে একটা মারা গেল। আরেকটাও খুবই দুর্বল। মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি।”
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার খামারি মাসুদ রানা বলেন,“দশটি গরু নিয়ে খামার শুরু করেছিলাম। এর মধ্যে তিনটি আক্রান্ত। একটা মারা গেছে। বাকি দুটোও ভালো না। ডাক্তার এসে শুধু বলছে আলাদা করে রাখতে, নাপা খাওয়াতে। এত বড় গরুকে নাপা দিলে কি হবে?”জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইজহার আহমেদ খান বলেন, “লাম্পি ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক রোগ। আক্রান্ত পশুর কাছ থেকে অন্য পশুতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এ রোগের প্রতিষেধক নেই। তবে আমরা নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছি এবং আক্রান্ত গরু আলাদা করে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।”