০২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সদরপুরে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা, দুর্ঘটনার ভয়ে সেবা প্রত্যাশীরা

  • এস এম আলমগীর
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:২৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • 24
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁকিপূর্ণ । এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে আকোটেরচর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র কতৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উক্ত ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যা যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। ব্যবহার না হওয়ায় ভবনটির অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে এবং উপরের পলেস্তারা খসে পড়ে, জানালা ভাঙ্গা, বৃষ্টির পানি চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ মূল‍্যবান ঔষধপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এছাড়া সেবাদানকারীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
দায়িত্বরত পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা মনজুরী বলেন, আমি মাত্র ১ মাস যাবৎ এখানে জয়েন্ট করেছি। আমি আসার পর দেখি ভবনটির অবস্থা একরাবেই নাজেহাল। আমি আসার পর দুইবার চুরি হয়েছে, আমার সেবাদানের রুমে একটি ফ্যান ও কিছু চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, বিদ্যুৎ সংযোগের তার ও মিটার চুরি হয়ে গেছে। এখানে কোন পানির ব্যবস্থা নাই। আমি আমার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ করছি ।
অন্য এক স্বাস্থ্যকর্মী হাসনাহেনা পিংকি জানান, আকোটেরচর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তারপরও নেওয়া হচ্ছে না সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেলর কাছে মৌখিকভাবেও জানিয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়ার শুধু আশ্বাস পেয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মমিনুর রহমান সরকার জানান, আকোটেরচর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমি নিজে গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভবনটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছি। অনুমোদন পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
আকোটেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন, এই কেন্দ্রটি শিশু, নারী ও সাধারণ জনগণের জন‍্য অপরিহার্য। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে স্বাস্থ্যসেবা প্রভাবিত হচ্ছে।
দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির সময় ভবন থেকে পানি পড়ে, দেয়াল ভেঙে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। সরঞ্জামের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাব রয়েছে। সংস্কার বা নতুন ভবন হলে সেবা মান উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কুমিল্লায় পা থেকে হাতে আঙুল প্রতিস্থাপন, ‘সফল’ ৭ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার

সদরপুরে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা, দুর্ঘটনার ভয়ে সেবা প্রত্যাশীরা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:২৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁকিপূর্ণ । এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে আকোটেরচর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র কতৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উক্ত ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যা যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। ব্যবহার না হওয়ায় ভবনটির অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে এবং উপরের পলেস্তারা খসে পড়ে, জানালা ভাঙ্গা, বৃষ্টির পানি চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ মূল‍্যবান ঔষধপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এছাড়া সেবাদানকারীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
দায়িত্বরত পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা মনজুরী বলেন, আমি মাত্র ১ মাস যাবৎ এখানে জয়েন্ট করেছি। আমি আসার পর দেখি ভবনটির অবস্থা একরাবেই নাজেহাল। আমি আসার পর দুইবার চুরি হয়েছে, আমার সেবাদানের রুমে একটি ফ্যান ও কিছু চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, বিদ্যুৎ সংযোগের তার ও মিটার চুরি হয়ে গেছে। এখানে কোন পানির ব্যবস্থা নাই। আমি আমার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ করছি ।
অন্য এক স্বাস্থ্যকর্মী হাসনাহেনা পিংকি জানান, আকোটেরচর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তারপরও নেওয়া হচ্ছে না সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেলর কাছে মৌখিকভাবেও জানিয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়ার শুধু আশ্বাস পেয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মমিনুর রহমান সরকার জানান, আকোটেরচর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমি নিজে গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভবনটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছি। অনুমোদন পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
আকোটেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন, এই কেন্দ্রটি শিশু, নারী ও সাধারণ জনগণের জন‍্য অপরিহার্য। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে স্বাস্থ্যসেবা প্রভাবিত হচ্ছে।
দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির সময় ভবন থেকে পানি পড়ে, দেয়াল ভেঙে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। সরঞ্জামের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাব রয়েছে। সংস্কার বা নতুন ভবন হলে সেবা মান উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।