
সিলেট বালাগঞ্জ উপজেলার হামছাপুর গ্রামের রাস্তায় আজ সকাল ৯:৩০ মিনিটের সময় ২১/০২/২০২৫ ইং তারিখে গাড়ির বেপরোয়া গতিতে একটি কুকুর মারা যায়।কুকুর টি খুবই শান্ত সভাবের ছিল।সে প্রতিদিন খাবার এর সন্ধানে পুরো এলাকায় গুরে বেড়াতো।কুকুর টি ছিল পুরুষ কুকুর।কিছু দিন আগে তাদের চারটি সন্তানের জন্ম হয়।সেই বাচ্চা গুলো নিয়ে তারা আমাদের বাড়িতে বসবাস করতে ছিল।আজ সকালে তারা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে খাবার এর সন্ধান করতে বাহির হয়েছিল।কুকুর গুলো কিছুক্ষণ গুরাগুরি করতে ছিল।পরে তারা খাবার এর সন্ধান এর জন্য রাস্তায় হাটাহাটি করতে ছিল সেই সময় একটা মাটি কাটার ট্রলি এসে বেপরোয়া গতিতে বাবা কুকুর কে রাস্তায় পিঁশে চলে যায়।পরে এলাকার কিছু ছেলেরা কুকুর টিকে রাস্তার পাশে রাখে।এবং আমি নিজে এসে দেখতে পাই কুকুরটি মৃত্যু বরণ করে।এলাকাবাসী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।তারা বলেন কিছু দিন আগে একটা সিএনজি মো:রফিক মিয়া নামের একজন লোককে ধাক্কা দেওয়ার কারণে তিনি কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।এবং আরেক দিন আমি আমার নিজের চোখে দেখতে পাই একটা মিশুক এসে একটা মুরগের উপর দিয়ে গাড়ি তুলে ফেলে।এবং সাথে সাথে মুরগ টি মারা যায় এবং মিশুকের ড্রাইভার এর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করেন,হামছাপুর গ্রামের আকবর মিয়ার স্ত্রী।এভাবে যদি হামছাপুর গ্রামের রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো হয় তাতে করে ঝড়ে যেতে পারে পশু পাখি ও মানুষের প্রাণ।তাই এলাকাবাসীর দাবি যাহারা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান তাদের কে আইনের আওতায় নিয়ে সঠিক বিচার করা উচিত।উন্নত দেশে দেখা যায় এরকম পশু পাখি সাধারণত না খেয়ে মারা যায় না গৃহপালিত হয়। তারা রাস্তায় কোন নিরীহ প্রাণী পেলে যত্ন করে।যে মানুষের সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি পশু পাখির প্রতি মায়া দরদ আছে সেই প্রাণী একদিন মালিকের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দেয়।