০৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Foodpanda-এর ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি:দিয়ে বাংলাদেশ ব্যবসা করছে

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস Foodpanda সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির কারণে। সরকারের নিরীক্ষায় ধরা পড়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের প্রাপ্য রাজস্ব পরিশোধ না করে অবৈধভাবে লাভ করেছে। এই অর্থ দেশের সাধারণ জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হতে পারত, যা হাসপাতাল, রাস্তা, শিক্ষা বা অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে ব্যয় হতে পারত। ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযোগ ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিতর্কিত অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা দেখা গেছে।
১. বাজারে আধিপত্যের অপব্যবহার ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ফুডপান্ডাকে বাজারে তাদের প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহারের অভিযোগে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে। অভিযোগ ছিল যে ফুডপান্ডা নান্দোস (Nando’s) এবং পেয়ালা (Peyala) রেস্টুরেন্টের ব্যবসা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করেছে।
তবে প্রতিষ্ঠানটি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
২. ভ্যাট ফাঁকির মামলা ২০২০ সালে ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ আনা হয় এবং এ নিয়ে মামলা করা হয় সূত্র: TBS News এ জানা যায়। এবং এখন বর্তমান  Foodpanda রাইডারদের আন্দোলন  বর্তমানে Foodpanda-রাইডাররা ন্যায্য অধিকার ও প্রাপ্য মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছে। তারা অমানবিক ভাবে রাইডারদেরসাথে বৈষম্যম করছে  তাই  তারা আন্দোলনে নেমেছে। কিন্তু কিছু মানুষ এই আন্দোলনের বিপক্ষে কথা বলছে, যারা আসলে ভ্যাট চোর ও গরিবের রক্তচোষাদের পক্ষে সাফাই গাইছে। কেন আন্দোলনবিরোধীরা রাজাকার মানসিকতার?
১. রাষ্ট্রের অর্থ চুরি করা মানে জনগণের সম্পদ লুট করা – যারা এই চুরিকে সমর্থন করে, তারা রাজাকারের মতোই জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
২. মেহনতি মানুষের দাবিকে দমন করা পাকিস্তানি কায়দা – রাইডারদের দাবি ন্যায্য, কিন্তু যারা তাদের আন্দোলনের বিপক্ষে, তারা ঠিক সেই সময়ের দালালদের মতো কাজ করছে।
৩. কর ফাঁকির টাকায় বড়লোকি, গরিবের কষ্ট – কর্পোরেট দস্যুরা সাধারণ মানুষের অর্থ লুটে নিজেদের লাভ বাড়াচ্ছে, আর কেউ যদি সেটাকে সমর্থন করে, তবে সে স্পষ্টতই শত্রুপক্ষের লোক। ফুড পান্ডার রাইটারদের  দাবি  Foodpanda বয়কট করুন, রাইডারদের পাশে থাকুন! আমরা চাই, রাষ্ট্র তাদের কাছ থেকে ভ্যাট ও শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার আদায় করা হক । পাশাপাশি, যারা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে চাইছে, তারা আসলে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। তাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিন, Foodpanda বয়কট করুন এবং রাইডারদের ন্যায্য দাবির পাশে দাঁড়ান! এবং  ফুডপান্ডা রাইডাররা জানায় যে সরকার এই বিষয় গুরুত্বসহকারে দেখুক।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পাঁচ মাস ২৫ দিনে কোরআনের হাফেজ হলো শাহরাস্তির তানভীর

Foodpanda-এর ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি:দিয়ে বাংলাদেশ ব্যবসা করছে

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৫৭:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস Foodpanda সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির কারণে। সরকারের নিরীক্ষায় ধরা পড়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের প্রাপ্য রাজস্ব পরিশোধ না করে অবৈধভাবে লাভ করেছে। এই অর্থ দেশের সাধারণ জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হতে পারত, যা হাসপাতাল, রাস্তা, শিক্ষা বা অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে ব্যয় হতে পারত। ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযোগ ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিতর্কিত অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা দেখা গেছে।
১. বাজারে আধিপত্যের অপব্যবহার ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ফুডপান্ডাকে বাজারে তাদের প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহারের অভিযোগে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে। অভিযোগ ছিল যে ফুডপান্ডা নান্দোস (Nando’s) এবং পেয়ালা (Peyala) রেস্টুরেন্টের ব্যবসা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করেছে।
তবে প্রতিষ্ঠানটি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
২. ভ্যাট ফাঁকির মামলা ২০২০ সালে ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ আনা হয় এবং এ নিয়ে মামলা করা হয় সূত্র: TBS News এ জানা যায়। এবং এখন বর্তমান  Foodpanda রাইডারদের আন্দোলন  বর্তমানে Foodpanda-রাইডাররা ন্যায্য অধিকার ও প্রাপ্য মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছে। তারা অমানবিক ভাবে রাইডারদেরসাথে বৈষম্যম করছে  তাই  তারা আন্দোলনে নেমেছে। কিন্তু কিছু মানুষ এই আন্দোলনের বিপক্ষে কথা বলছে, যারা আসলে ভ্যাট চোর ও গরিবের রক্তচোষাদের পক্ষে সাফাই গাইছে। কেন আন্দোলনবিরোধীরা রাজাকার মানসিকতার?
১. রাষ্ট্রের অর্থ চুরি করা মানে জনগণের সম্পদ লুট করা – যারা এই চুরিকে সমর্থন করে, তারা রাজাকারের মতোই জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
২. মেহনতি মানুষের দাবিকে দমন করা পাকিস্তানি কায়দা – রাইডারদের দাবি ন্যায্য, কিন্তু যারা তাদের আন্দোলনের বিপক্ষে, তারা ঠিক সেই সময়ের দালালদের মতো কাজ করছে।
৩. কর ফাঁকির টাকায় বড়লোকি, গরিবের কষ্ট – কর্পোরেট দস্যুরা সাধারণ মানুষের অর্থ লুটে নিজেদের লাভ বাড়াচ্ছে, আর কেউ যদি সেটাকে সমর্থন করে, তবে সে স্পষ্টতই শত্রুপক্ষের লোক। ফুড পান্ডার রাইটারদের  দাবি  Foodpanda বয়কট করুন, রাইডারদের পাশে থাকুন! আমরা চাই, রাষ্ট্র তাদের কাছ থেকে ভ্যাট ও শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার আদায় করা হক । পাশাপাশি, যারা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে চাইছে, তারা আসলে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। তাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিন, Foodpanda বয়কট করুন এবং রাইডারদের ন্যায্য দাবির পাশে দাঁড়ান! এবং  ফুডপান্ডা রাইডাররা জানায় যে সরকার এই বিষয় গুরুত্বসহকারে দেখুক।