০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নলডাঙ্গায় ভাই-ভাতিজাদের ছুরিকাঘাতে চাচা নিহত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাই ও ভাতিজাদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় রাধানাথ দাস (৫৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।গেল শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রায়পাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত রাধানাথ দাস ওই গ্রামের মৃত কার্ত্তিক চন্দ্র দাসের ছোট ছেলে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, বড় ভাই নৃপেন চন্দ্র দাস ওরফে খলসা এবং নিহত রাধানাথ একই পৈতৃক জমিতে পাশাপাশি বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার সীমানা ও ভাগাভাগি নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
ঘটনার একদিন আগে বড় ভাই খলসা বাড়ির সীমানায় একটি টয়লেট নির্মাণ করতে গেলে তা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা হয়।পরদিন শুক্রবার সকালে রাধানাথ বাড়ির সামনে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বড় ভাই খলসা ও তার দুই ছেলে—শঙ্খরাজ ওরফে ঠাকুর এবং সত্যেন্দ্রনাথ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে রাধানাথকে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তার চিৎকার শুনে উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের স্ত্রী ঝলমলি দাস বলেন, “আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার আপন ভাই ও ভাতিজারা। আমি এই হত্যার বিচার চাই।”
রাধানাথের অপর ভাই পোলাদ দাস বলেন, “কি থেকে কী হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। আমি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

এলজিইডি’র সাবেক প্রকৌশলীর জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

নলডাঙ্গায় ভাই-ভাতিজাদের ছুরিকাঘাতে চাচা নিহত

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাই ও ভাতিজাদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় রাধানাথ দাস (৫৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।গেল শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রায়পাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত রাধানাথ দাস ওই গ্রামের মৃত কার্ত্তিক চন্দ্র দাসের ছোট ছেলে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, বড় ভাই নৃপেন চন্দ্র দাস ওরফে খলসা এবং নিহত রাধানাথ একই পৈতৃক জমিতে পাশাপাশি বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার সীমানা ও ভাগাভাগি নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
ঘটনার একদিন আগে বড় ভাই খলসা বাড়ির সীমানায় একটি টয়লেট নির্মাণ করতে গেলে তা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা হয়।পরদিন শুক্রবার সকালে রাধানাথ বাড়ির সামনে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বড় ভাই খলসা ও তার দুই ছেলে—শঙ্খরাজ ওরফে ঠাকুর এবং সত্যেন্দ্রনাথ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে রাধানাথকে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তার চিৎকার শুনে উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের স্ত্রী ঝলমলি দাস বলেন, “আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার আপন ভাই ও ভাতিজারা। আমি এই হত্যার বিচার চাই।”
রাধানাথের অপর ভাই পোলাদ দাস বলেন, “কি থেকে কী হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। আমি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”