
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শামীম (৩০) তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার (৫ জুলাই) রাতে পার্শ্ববর্তী গইচাসিয়া সেতুর নিচ থেকে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখনো তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
রফিকুল ইসলাম শামীম উপজেলার মনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত ৩ জুলাই রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে মডেল বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরপর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
রফিকুলের বড় ভাই জানান, “আমার ভাই কোনো শত্রুতা বা বিরোধের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তিন দিন পার হয়ে গেল, এখনো তার কোনো খোঁজ নেই। আমরা আশঙ্কা করছি, সে হয়তো আর বেঁচে নেই। দ্রুত তার সন্ধান না মিললে বড় ধরনের অঘটনের আশঙ্কা করছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, এটি নিছক নিখোঁজের ঘটনা নয়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে রফিকুলকে অপহরণ করে হত্যার পর মরদেহ গুম করা হয়ে থাকতে পারে। মোটরসাইকেলটি সেতুর নিচে ফেলে রাখা হয়েছে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে—এমনটাই তাদের ধারণা।
গন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বোরহান উদ্দিন মোহাম্মদ তমজিদ বলেন, “শামীমের মোটরসাইকেল উদ্ধার হলেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা তার দ্রুত সুস্থ ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “নিখোঁজ ব্যক্তির মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।”
নিখোঁজের এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চরম উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। পরিবার ও স্থানীয়রা দ্রুত রফিকুলের সন্ধান চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।