
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীদের হতাশার কারন এখন বিদ্যুৎ। কুরবানির ঈদের ছুটির পরে ক্যাম্পাসে এসে হলের শিক্ষার্থীদের হতাশা বেড়েই চলেছে। গত ক’য়েকদিন যাবৎ শিক্ষার্থীরা যখনই টেবিলে পড়াশোনার জন্য প্রস্তুতি নেয় তখনই ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ পালিয়ে যায়, সকাল এগারোটার মধ্যে কম করে হলেও চার-পাঁচবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে। দুপুরে স্বাভাবিকভাবেই দুই-আড়াই ঘন্টা। সন্ধায় যখন টেবিলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রস্তুতি নেয় তখন থেকেই বিদ্যুত মাঝে মাঝে আসে। হলের অনেক শিক্ষার্থীরা বলেন আমরা জুলাই’২৪ আন্দোলন করে কি ভুল করেছিলাম? যেই ভুলের শাস্তি আমাদের কে দেওয়া হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেশ স্বাধীন করে এখনো সংস্কার দেখতে পাইনি, এভাবে আর কতদিন লাগবে?
অনেকেরই অনার্স শেষ হয়েছে,অনেকেরই মাস্টার্স শেষ হয়েছে চাকরির পড়াশোনা করার সুযাগই দিচ্ছে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ। মনে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সাথে খেল-তামাশা শুরু করেছে! অন্যদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার মেসগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী থাকেন, ওই এলাকায় অনেক দিন দেখা যায় চব্বিশ ঘন্টায় তিন-চার ঘন্টা বিদ্যুৎ উঁকি দেয়। পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন আমাদের (তাদের) আবাসিক হলে থাকার ব্যাবস্থা করেন অথবা আমাদের মেসগুলোতে চব্বিশ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকার ব্যাবস্থা করে দিন। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো নড়চড় নেই। বিদ্যুতের উন্নতি না হলে তিব্র আন্দোলনে যোগ দিবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।