
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন – সরকার পোল্ট্রি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রান্তিক খামারীদের ক্ষমতায়ন ও প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। হাঁস-মুরগী পালনের আধুনিক প্রযুক্তি ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পর্যায়ে উঠান বৈঠক কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
রোববার (৬ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামে প্রান্তিক খামারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এই উঠােন বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বক্তব্যে রাখেন, এসময়ে তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করতে ক্ষুদ্র খামারিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও ঋণ সুবিধা সহজলভ্য করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নারী খামারীদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
উঠান বৈঠকে খামারীরা ভ্যাকসিন, খাওয়ানোর নিয়ম, বাজারজাতকরণ এবং হাঁস-মুরগীর রোগব্যাধি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। শেষে উপদেষ্টা খামারীদের ধৈর্য ও পরিশ্রমের প্রশংসা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
উক্ত উঠোন বৈঠকটি ইউটিসি উদ্যোগের অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়। এতে গ্রামের নারী-পুরুষ খামারীরা হাঁস-মুরগী পালন সংক্রান্ত নানা সমস্যা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। উপদেষ্টা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তাদের পরামর্শ দেন।
এ সময়ে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডাঃ জসীম উদ্দীন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. গোলাম রব্বানী, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) বেগম শামসুন্নাহার আহমদ, রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি মিঃ শি, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এসএ এরিখ ব্রুম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ,কে,এম, আনোয়ারুল হক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.শাহীনুর রহমান, রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির, রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ,
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আমির হামজা, ভেটেনারী সার্জন ডা. মো. শামীম হোসেন প্রমুখ সহ পোল্টি খামারীরা, এলাকার নারী-পুরুষদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।