০১:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুবিতে সহকারী অধ্যাপককে হুমকির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

  • Yunus Sujon
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০১:০৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • 145
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মুতাসিম বিল্লাহকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেন— রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের সময় শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাসান কামরুলকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও সহকারী প্রক্টর মুতাসিম বিল্লাহর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও হাসান কামরুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের নিয়ে অশালীন ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে আসছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরাফ ভূঁইয়া বলেন, “১১ জুলাই যখন হাসান কামরুল শিক্ষকদের হুমকি দিচ্ছিলেন, তখন আমরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, কিন্তু পরিবেশের কথা ভেবে আমরা কিছু বলিনি। কিন্তু তার অতীত কর্মকাণ্ড ও বারবার পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগের কারণে আমরা মনে করি, তাকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা উচিত।”
কুবি ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থে অপপ্রচার চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন সাবেক শিক্ষার্থী হয়ে শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাইম ভূঁইয়া বলেন, “১১ জুলাইয়ের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি সফল করতে মুতাসিম স্যারের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ তাকেই হুমকি দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
‘পাটাতন’-এর সভাপতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, “একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হয়ে হাসান কামরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্টেকহোল্ডার না হয়েও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমরা এমন পরিবেশ চাই না, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।”
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রীয় একটি অনুষ্ঠানের সময় প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও সহকারী প্রক্টর মুতাসিম বিল্লাহকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাসান কামরুলের বিরুদ্ধে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ময়নামতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

কুবিতে সহকারী অধ্যাপককে হুমকির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:০৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মুতাসিম বিল্লাহকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেন— রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের সময় শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাসান কামরুলকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও সহকারী প্রক্টর মুতাসিম বিল্লাহর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও হাসান কামরুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের নিয়ে অশালীন ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে আসছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরাফ ভূঁইয়া বলেন, “১১ জুলাই যখন হাসান কামরুল শিক্ষকদের হুমকি দিচ্ছিলেন, তখন আমরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, কিন্তু পরিবেশের কথা ভেবে আমরা কিছু বলিনি। কিন্তু তার অতীত কর্মকাণ্ড ও বারবার পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগের কারণে আমরা মনে করি, তাকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা উচিত।”
কুবি ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থে অপপ্রচার চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন সাবেক শিক্ষার্থী হয়ে শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাইম ভূঁইয়া বলেন, “১১ জুলাইয়ের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি সফল করতে মুতাসিম স্যারের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ তাকেই হুমকি দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
‘পাটাতন’-এর সভাপতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, “একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হয়ে হাসান কামরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্টেকহোল্ডার না হয়েও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমরা এমন পরিবেশ চাই না, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।”
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রীয় একটি অনুষ্ঠানের সময় প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও সহকারী প্রক্টর মুতাসিম বিল্লাহকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাসান কামরুলের বিরুদ্ধে।