০১:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুবিতে ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • এম এ জলিল
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১২:৪৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • 39

ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে : উপাচার্য
ইউনেস্কো পার্টিসিপেশন প্রোগ্রাম ২০২৪-২০২৫-এর আওতায় আজ ২১ জুলাই (সোমবার) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো কমিশন (বিএনসিইউ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের যৌথ আয়োজনে এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) ডিসিপ্লিনের সহযোগিতায় এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বর্তমানে সমাজে এক ভয়াবহ ব্যাধির নাম ক্যান্সার। এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ মানুষ প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি শনাক্ত করতে পারেন না। ফলে শেষ পর্যায়ে এসে আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবার চরম সংকটে পড়ে। যদি শুরুতেই রোগটি ধরা যায়, তবে তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। এজন্য ক্যান্সার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তারুণ্যই পারে সমাজকে বদলে দিতে, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ও নতুন ধারায় সমাজকে গড়ে তুলতে। ’২৪-এর জুলাই আন্দোলনে আমরা এর প্রমাণ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে ক্যান্সারসহ অন্যান্য কঠিন রোগ ও ব্যাধি সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। তিনি এই ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য ইউনেস্কোসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, আমাদের নিত্যদিনের খাদ্য, বিশেষ করে শাকসবজি ও ফলমূলের মাধ্যমে মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান প্রবেশ করতে পারে। কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের কারণে এগুলোর মধ্যে বিষাক্ত উপাদান মিশে যায়। এগুলোর প্রভাবে শরীরে ধীরে ধীরে ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়ে। আমরা যদি প্রাথমিক স্তর থেকেই সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে ক্যান্সারের মতো কঠিন ব্যাধিকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী ও জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম হোসেন। বিজিই ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ মুরছালিন বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. সাবিনা ইয়াসমিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব। তিনি ক্যান্সার রোগের বর্তমান বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট, নারী সমাজে এর প্রকোপ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ কর্মশালায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজিই এবং ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন এবং ক্যান্সার বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ধর্মপাশা পাইকুরাটি ইউনিয়ন বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

খুবিতে ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:৪৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে : উপাচার্য
ইউনেস্কো পার্টিসিপেশন প্রোগ্রাম ২০২৪-২০২৫-এর আওতায় আজ ২১ জুলাই (সোমবার) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো কমিশন (বিএনসিইউ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের যৌথ আয়োজনে এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) ডিসিপ্লিনের সহযোগিতায় এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বর্তমানে সমাজে এক ভয়াবহ ব্যাধির নাম ক্যান্সার। এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ মানুষ প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি শনাক্ত করতে পারেন না। ফলে শেষ পর্যায়ে এসে আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবার চরম সংকটে পড়ে। যদি শুরুতেই রোগটি ধরা যায়, তবে তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। এজন্য ক্যান্সার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তারুণ্যই পারে সমাজকে বদলে দিতে, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ও নতুন ধারায় সমাজকে গড়ে তুলতে। ’২৪-এর জুলাই আন্দোলনে আমরা এর প্রমাণ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে ক্যান্সারসহ অন্যান্য কঠিন রোগ ও ব্যাধি সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। তিনি এই ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য ইউনেস্কোসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, আমাদের নিত্যদিনের খাদ্য, বিশেষ করে শাকসবজি ও ফলমূলের মাধ্যমে মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান প্রবেশ করতে পারে। কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের কারণে এগুলোর মধ্যে বিষাক্ত উপাদান মিশে যায়। এগুলোর প্রভাবে শরীরে ধীরে ধীরে ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়ে। আমরা যদি প্রাথমিক স্তর থেকেই সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে ক্যান্সারের মতো কঠিন ব্যাধিকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী ও জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম হোসেন। বিজিই ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ মুরছালিন বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. সাবিনা ইয়াসমিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব। তিনি ক্যান্সার রোগের বর্তমান বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট, নারী সমাজে এর প্রকোপ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ কর্মশালায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজিই এবং ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন এবং ক্যান্সার বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করেন।