০৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় কলা বিক্রেতাকে গলা কেটে হত্যা- আটক ১

  • নওয়াব আলী
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৪৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • 8
মাগুরা শহরের ছায়াবীথি সড়কের ঋষিপাড়ায় ভজন গুহ (৫৫) নামে এক কলা বিক্রেতাকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম জানান, “রাত ১১টার দিকে আমরা খবর পাই ছায়াবীথি সড়কে ঋষিপাড়ায় সড়কের পাশে একজনের জবাই করা মরদেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ও ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করি। পরে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি ভজন গুহ, পেশায় একজন কলা বিক্রেতা। তিনি গত চার মাস ধরে ঋষিপাড়ায় পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।” এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই এলাকার আবির নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কেন এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। মাগুরা শহরের পশু হাসপাতাল পাড়ার ছায়াবীথি সড়কে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ভজন কুমার গুহ (৫৫) নামের এক কলা বিক্রেতা। শনিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ভজন গুহ ওই এলাকার মৃত সন্তোষ কুমার গুহের ছেলে এবং জামরুল তলা বাজারে কলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রক্তমাখা ছুরিসহ মোহাম্মদ আবির (৩০) নামে এক যুবককে আটক করে। আবিরের হাতেও রক্তের দাগ দেখা যায়, যা উপস্থিত জনতা ও পুলিশ সদস্যদের নজরে আসে। আবির মাগুরারই মৃত হান্নান বিশ্বাসের ছেলে। পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় তাকে উত্তেজিত অবস্থায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখা গেছে। আবিরের বিরুদ্ধে একাধিক সহিংসতার অভিযোগ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটক মোহাম্মদ আবির এলাকার বহু বিতর্কিত ও ভয়ংকর চরিত্র। এর আগেও একাধিক সহিংস ঘটনায় তার নাম জড়িয়ে আছে। সে তার নিজের কাকী রিমা বেগমকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন ও মারধর করতো, যার ফলে রিমা বেগম অবশেষে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। কমলা খাতুন নামের এক বৃদ্ধাকে নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় ব্যবসায়ী খিরোদ কর্মকারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রেকর্ড করা হয়, যেখানে আবিরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বুলবুলি মালিক নামের এক নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অতিষ্ঠ জনসাধারণ, কঠোর শাস্তির দাবি এলাকাবাসী জানায়, আবিরের ভয়ংকর আচরণ ও লাগাতার অপরাধে স্থানীয় জনগণ আতঙ্কিত ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা বলছে, সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হলে হয়তো এই নির্মম হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেত।
এখন তারা দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, “আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হত্যার পেছনের কারণ ও সংশ্লিষ্টতা বিস্তারিতভাবে তদন্ত করে দেখা হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুলাই সনদের খসড়া তৈরি, কালকের মধ্যে সব দলকে পাঠানো হবে: আলী রীয়াজ

মাগুরায় কলা বিক্রেতাকে গলা কেটে হত্যা- আটক ১

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৪৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
মাগুরা শহরের ছায়াবীথি সড়কের ঋষিপাড়ায় ভজন গুহ (৫৫) নামে এক কলা বিক্রেতাকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম জানান, “রাত ১১টার দিকে আমরা খবর পাই ছায়াবীথি সড়কে ঋষিপাড়ায় সড়কের পাশে একজনের জবাই করা মরদেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ও ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করি। পরে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি ভজন গুহ, পেশায় একজন কলা বিক্রেতা। তিনি গত চার মাস ধরে ঋষিপাড়ায় পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।” এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই এলাকার আবির নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কেন এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। মাগুরা শহরের পশু হাসপাতাল পাড়ার ছায়াবীথি সড়কে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ভজন কুমার গুহ (৫৫) নামের এক কলা বিক্রেতা। শনিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ভজন গুহ ওই এলাকার মৃত সন্তোষ কুমার গুহের ছেলে এবং জামরুল তলা বাজারে কলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রক্তমাখা ছুরিসহ মোহাম্মদ আবির (৩০) নামে এক যুবককে আটক করে। আবিরের হাতেও রক্তের দাগ দেখা যায়, যা উপস্থিত জনতা ও পুলিশ সদস্যদের নজরে আসে। আবির মাগুরারই মৃত হান্নান বিশ্বাসের ছেলে। পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় তাকে উত্তেজিত অবস্থায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখা গেছে। আবিরের বিরুদ্ধে একাধিক সহিংসতার অভিযোগ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটক মোহাম্মদ আবির এলাকার বহু বিতর্কিত ও ভয়ংকর চরিত্র। এর আগেও একাধিক সহিংস ঘটনায় তার নাম জড়িয়ে আছে। সে তার নিজের কাকী রিমা বেগমকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন ও মারধর করতো, যার ফলে রিমা বেগম অবশেষে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। কমলা খাতুন নামের এক বৃদ্ধাকে নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় ব্যবসায়ী খিরোদ কর্মকারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রেকর্ড করা হয়, যেখানে আবিরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বুলবুলি মালিক নামের এক নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অতিষ্ঠ জনসাধারণ, কঠোর শাস্তির দাবি এলাকাবাসী জানায়, আবিরের ভয়ংকর আচরণ ও লাগাতার অপরাধে স্থানীয় জনগণ আতঙ্কিত ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা বলছে, সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হলে হয়তো এই নির্মম হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেত।
এখন তারা দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, “আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হত্যার পেছনের কারণ ও সংশ্লিষ্টতা বিস্তারিতভাবে তদন্ত করে দেখা হবে।