০৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরিনা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আরিফের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নরিনা উত্তর পাড়া গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আরিফের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিভিন্ন দুর্নীতি সাথে জড়িত থাকার কারণে বিষয়টি সর্বমহলে জানলেও বিগত দিনে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনি।
তবে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর থেকে এলাকাবাসী মাদক ব্যবসা ও সেবনের  বিষয়ে একাধিক বার নিষেধ করার সত্ত্বেও তিনি বংশের দাপট দেখিয়ে এখনো মাদক ব্যবসা ও সেবন করছেন।
 এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে একাদিক  ব্যক্তি  জানান, গ্রাম পুলিশ আরিফ নিজে গাঁজা, ইয়াবার ব্যবসা করেন তিনি নিজেও নিয়মিত ও সেবন করে। বিষয়টি সকলে জানলেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে থানার পুলিশ নিয়ে এসে তার বাসায়  মাদক আছে এমন অভিযোগ দিয়ে দরিয়ে দিবেন এই কথা বলে হুমকি দেন। গ্রাম পুলিশ আরিফ স্বৈরাচার সরকারের আমলে এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতাদের এক লক্ষ টাকা খাইয়ে চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে  এই মাদক ব্যবসা করছেন।
এদিকে নরিনা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দফাদার মোজাহারের সঙ্গে আরিফের মাদক ব্যবসা ও সেবনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আরিফ মাদক সেবন করে সেটা তাকে দেখলেই বোঝা যায় তবে আমাকে অনেকেই বলেছে আরিফ মাদক ব্যবসা করে আমি নিজের চোখে কখনো  দেখিনি তবে মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।এবিষয়ে গ্রাম পুলিশ আরিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন হে আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ২০১৬ বা ২০১৭ সালের দিকে ফজলুল হক মন্ত্রীকে এক লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছি এটা তিনি নিজ মুখেই শিকার করেন এবং তিনি বলেন আমি মাদক ব্যবসা করি না আমি মাদক সেবন করি এটা এলাকার সবাই জানেন। এবং মাদক সেবন করা অপরাধ শিকার করে সংবাদ কর্মীকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এবিষয়ে শাহজাদপুর  উপজেলার নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন সঠিক তথ্য প্রমাণ পেলেই তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পাঁচ মাস ২৫ দিনে কোরআনের হাফেজ হলো শাহরাস্তির তানভীর

নরিনা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আরিফের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নরিনা উত্তর পাড়া গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আরিফের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিভিন্ন দুর্নীতি সাথে জড়িত থাকার কারণে বিষয়টি সর্বমহলে জানলেও বিগত দিনে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনি।
তবে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর থেকে এলাকাবাসী মাদক ব্যবসা ও সেবনের  বিষয়ে একাধিক বার নিষেধ করার সত্ত্বেও তিনি বংশের দাপট দেখিয়ে এখনো মাদক ব্যবসা ও সেবন করছেন।
 এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে একাদিক  ব্যক্তি  জানান, গ্রাম পুলিশ আরিফ নিজে গাঁজা, ইয়াবার ব্যবসা করেন তিনি নিজেও নিয়মিত ও সেবন করে। বিষয়টি সকলে জানলেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে থানার পুলিশ নিয়ে এসে তার বাসায়  মাদক আছে এমন অভিযোগ দিয়ে দরিয়ে দিবেন এই কথা বলে হুমকি দেন। গ্রাম পুলিশ আরিফ স্বৈরাচার সরকারের আমলে এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতাদের এক লক্ষ টাকা খাইয়ে চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে  এই মাদক ব্যবসা করছেন।
এদিকে নরিনা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দফাদার মোজাহারের সঙ্গে আরিফের মাদক ব্যবসা ও সেবনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আরিফ মাদক সেবন করে সেটা তাকে দেখলেই বোঝা যায় তবে আমাকে অনেকেই বলেছে আরিফ মাদক ব্যবসা করে আমি নিজের চোখে কখনো  দেখিনি তবে মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।এবিষয়ে গ্রাম পুলিশ আরিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন হে আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ২০১৬ বা ২০১৭ সালের দিকে ফজলুল হক মন্ত্রীকে এক লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছি এটা তিনি নিজ মুখেই শিকার করেন এবং তিনি বলেন আমি মাদক ব্যবসা করি না আমি মাদক সেবন করি এটা এলাকার সবাই জানেন। এবং মাদক সেবন করা অপরাধ শিকার করে সংবাদ কর্মীকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এবিষয়ে শাহজাদপুর  উপজেলার নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন সঠিক তথ্য প্রমাণ পেলেই তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।