
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী’ র আদর্শের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে দলের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করছে এ আসনের আমির,রুকন,শুরাহ সদস্য, সাধারণ সদস্য, সমর্থক ও ভোটারা।
ইতিমধ্যে সারাদেশের ২৯৬ টি আসনের প্রার্থী চুড়ান্ত করেছ দলের নীতিনির্ধারকরা।এর ধারাবাহিকতায় জামালপুর -৩ (মেলান্দহ – মাদারগঞ্জ) আসনের জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের দাঁড়িপাল্লার প্রতিকের দলী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানাগেছে। জামায়াতে ইসলামীর তথ্যমতে এ আসন থেকে মেলান্দহ উপজেলার সাবেক আমীর বর্তমান জামালপুর জেলা কমিটির শুরাহ সদস্য অধ্যাপক মাও: মুজিবুর রহমান আজাদী কে
জামায়াতে ইসলামী( দাঁড়িপাল্লা প্রতিকের) দলী এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে লড়বে।
মাও:মজিবুর রহমান আজাদী দাঁড়িপাল্লা প্রার্থী হওয়াতে এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লার বাধঁভাঙ্গা গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
যা স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এরকম দাঁড়ি পাল্লার গনজোয়ার ও গনজাগরণ কোন দিনই সৃষ্টি হয়নি।
মাও : মুজিবুর রহমান মালঞ্চ জমিরিয়া কামিল মাদরাসার একজন সুনামধন্য মুহাদ্দিস, একজন বিনয়ী,মানবিক, সহজ-সরল সাদামাটা মানুষ।তিনি একজন মসজিদের খতিবও। মেলান্দহ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের নাগের পাড়ায় অতিসাধারন পরিবেশে বসবাস করছেন।
মুজিবুর রহমান আজাদী’ র দীর্ঘদিন দলের ত্যাগ,মেহনত,কর্মি নিবেদিত একজন ভালো মানুষ কে জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হওয়াতে নিজেরা আশ্বাস্ত হয়েছে এবং বিগত দিনে ভেঙ্গেপড়া মনোভাব চাঙ্গা হয়েছে বলে এ আসনের ভোটাররা।তারা আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানিয়ে হাসি মুখে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী মুজিবুর রহমান আজাদীর পক্ষে নিবেদিত হয়ে বিজয় আনা পর্যন্ত কাজ করবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা।
সারা দেশে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের অনুকূলে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জামালপুর – ৩ মেলান্দহ – মাদারগঞ্জে দাঁড়িপাল্লার গণজোয়ার দিন দিন বেড়েই চলেছে।দাঁড়িপাল্লার গণজোয়ার দেখে অন্যান্য দলের প্রার্থীর ইতিমতো বিস্মৃত।এবার জনগণ অবাধ ও নির্বিঘ্নে নিজেদের ভোট প্রয়োগ করতে পারলে ইসলামী আদর্শের শক্তিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেশ শাসনের দায়িত্ব অর্পণ করবে বলে এ অঞ্চলের সুশীল সমাজের দাবী।
আনোয়ার হোসেন নামে একজন গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন- আমরা সব দল ও নেতাকে দেখেছি,এবার আমরা জামায়াতে ইসলামী’র প্রার্থী মুজিবুর রহমান আজাদী কে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিবো।তিনি খুব ভাল মানুষ।
লান্জু ও জহির নামে প্রবাসীদ্বয় বলেন- দেশ ও মানুষ জামায়াতে ইসলামী,র কাছেই নিরাপদ।সেই জন্য জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।আর মুজিবুর হুজুর তো খুব ভালো মানুষ। তিনি এমপি হলে কোন অন্যায়, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি হবে না।তাকেই ভোট দিবো এবং সবাইকে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবার আহবান করছি।
আবু মুছা নামেএক অটোচালক বলেন-আমরা অনেকদলের শাসন দেখেছি।এবার জামায়াতে ইসলামী কে দেখবো।নি:সন্দেহে জামায়াতে ইসলামী এবার সরকার হবে।জামায়াত সরকার গঠন করলে আমরা নিন্মআয়ের মানুষ ও নারী- শিশুরা নির্ভয়ে চলতে পারবে।আর জামালপুর – ৩ আসনের মুজিবুর রহমান যোগ্যপ্রার্থী। তার গুণের জন্যই মেলান্দহ – মাদারগঞ্জে দাঁড়িপাল্লার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। মেলান্দহ বাজারের
শামীম হোসাইন নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন- এবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিবো,চাঁদাবাজদের দুর করবো।সব দল যাবে ভেসে,দাঁড়িপাল্লার জয় হবে।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন- আমরা অনেক সরকার দেখছি।জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সরকার গঠন করলে আশা করছি ও বুঝতেও পারছি- এ জনপদ,শিক্ষাঙ্গাণ,ব্যবসায়ীরা নিরাপদ থাকবে। বিশেষ করে মুজিবুর রহমান আজাদী এমপি হলে এ আসনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নতি, ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজদের হতে রক্ষা ও সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নতি ঘটবে।
জামায়াতেইসলামী বাংলাদেশ মেলান্দহ উপজেলা শাখার আমীর- ইদ্রিস আলী, বলেন- আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান মাফিক পরিচালনার মানষিকতায় জামায়াতে ইসলামী জনগণের মনের ইচ্ছা শক্তির গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।দেশ ও দেশের সম্পদ জামায়াতে ইসলামীর কাছেই শতভাগ নিরাপদ। এবার দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল নেতা- কর্মীকে সাথে নিয়ে দাড়িঁপাল্লার প্রার্থী পক্ষে বিজয়ের লক্ষে কাজ করবো।ইনশাল্লাহ বিজয় এবার দাঁড়িপাল্লারই হবে।
জামালপুর -৩ ( মেলান্দহ – মাদারগঞ্জ) আসনের জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর দলীয় (দাঁড়িপাল্লার প্রতিকের) প্রার্থী মাঃ মুজিবুর রহমান আজাদী একপ্রশ্নের উত্তরে বলেন- আমি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর একজন কর্মী, আমি নিজেকোন অন্যায় করি না,অন্যায়ের পশ্রয়ও দেই না।আমিচাঁদাবাজি করিও না,আমার দলের কেউ চাঁদাবাজও নাই। জামায়াতে ইসলামী ইনসাফ ভিত্তিক দল।জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করলে দেশে কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ,ধর্ষক,টেন্ডারবাজ থাকবে না।
আর আমি অতি সাধারণ একজনমানুষ। আমাকে দলতেকে মনোনয়ন দিলে এবং আমাকে দাঁড়িপাল্লা প্রতিকে ভোটদিয়ে এমপি বানালে জীবন দিয়ে হলেও সেই ভোটের প্রতিদান দিতে চেস্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
আমি এমপি হলে আমার কাছে কারো আসতে বা কথা বলতে কোন মাধ্যম লাগবে না।আমি এখানে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
এআসনে এনসিপি হতে লুৎফর রহমান, বিএনপি ও ইসলামীআন্দোলন বাংলাদেশ এর একাধিক প্রার্থী রয়েছে।
সেক্ষত্রে দাঁড়িপাল্লার এখনব্যদি গণজোয়ার ক্রমেই বেড়ে চলেছে।