
মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচারের অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক হামিদুর রহমান রানা। তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশের সর্বোচ্চ শাস্তিও মাথা পেতে নেব, আর কেউ প্রমাণ দিতে পারলে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে—আমি এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি। রোববার সকাল ১০ টায় মহেশপুর আদর্শ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন এবং ২৯ জুলাই দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। সেইসঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন রানা।
তিনি বলেন,’সমন্বয়ক হয়ে বদলে গেছে রানার জীবন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং একটি কুচক্রী মহলের পরিকল্পিত অপপ্রচার। এতে আমার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রানা আরও বলেন, চারতলা বাড়ি নির্মাণ, জমি কেনা, সীমান্তে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, সরকারি প্রকল্প থেকে কমিশন নেওয়া এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার নামে ৯ শতক ভিটা ছাড়া কোনো জমি নেই, মোটরসাইকেল বৈধভাবে কেনা হয়েছে, যার ৮২ হাজার টাকা এখনও বাকি। সংবাদ সম্মেলনে খান মোটরসের বাকী থাকা ক্যাশ মেমোও দেখান তিনি। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি একটি মসজিদে ইমামতি করছেন এবং মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি তার চরিত্র সম্পর্কে ভালো জানেন। প্রতিবেদনে আমার কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি, যা সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালাও মানা হয়নি বলেন রানা। তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট দুই জাতীয় দৈনিক, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর কমান্ডার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন তিনি। একইসঙ্গে দোষী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনের শেষ অংশে তিনি পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ৪২ নম্বর আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিও না। তিনি সকল সাংবাদিক, সমাজের বিবেকবান মানুষ এবং প্রশাসনের প্রতি ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা জানিয়ে সম্মেলন শেষ করেন।