
পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া কাঁচামাল বাজারের ব্যবসায়ী মো. মিলনের প্রায় দুই শতাধিক তরমুজ চুরির ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে সংঘটিত এই চুরির ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজনের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। জানা গেছে ,গভীর রাতে মো. আলামিন ও তার এক সহযোগী স্বপন,ও ছিদ্দিক ব্যবসায়ী মো. মিলনের তরমুজ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। চুরি করার পর তারা ওই তরমুজগুলো কালাইয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন শহীদ চেয়ারম্যান সত্তার মাস্টারের কবরস্থানে নিয়ে রাখে।ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চোরদের ফেলে রাখা তরমুজ উদ্ধার করে। তবে তারা এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত হওয়া আলামিনের বাড়ি কালাইয়া প্যাদা রোড এলাকায়। তার বাবার নাম সিদ্দিক ব্যাপারী। আলামিন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং তিনি উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় সূত্র জানায়, আলামিন এর আগেও চুরি ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এতদিন তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চোরদের ফেলে রাখা তরমুজ উদ্ধার করে। তবে তারা এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন,সিসিটিভি ফুটেজে চোর চিহ্নিত হয়েছে, সবাই তাকে চিনে, অথচ পুলিশ তাকে ধরছে না। বিএনপি নেতা গাজী গিয়াস উদ্দিন তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। অভিযোগ রয়েছে, গাজী গিয়াস স্থানীয়ভাবে বিচার করার কথা বলে পুলিশকে চাপ দিয়েছেন, যাতে আলামিনকে গ্রেপ্তার না করা হয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেতা গাজী গিয়াস উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এইসব ভুয়া কথা ,আমি চোর ধরার চেষ্টা করতেছি ।আর আপনি বলেন বাঁচানোর চেষ্টা করতেছি ।আমি এখনো পুলিশ ও স্থানীয়দের নিয়ে চোর ধরার চেষ্টায় আছি । এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন,চোর নাকি সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে ।আমি বাউফলে নাই পটুয়াখালীতে আছি ।আমি মোবাইল শুনছি এরকম ঘটনা ঘটেছে ।ভুক্তভোগীকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।ভুক্তভোগী অভিযোগ দিতে আগ্রহী না ।তারপরও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চোরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করবো ।