১২:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‎ইংরেজ আমলের কাঁচা রাস্তাটি এখনও হয়নি পাকা।ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের মানুষ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর  ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার চর গ্রাম। গ্রামে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস, গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাঁদা জমে গ্রামের একমাত্র রাস্তাটিতে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। একটু বৃষ্টি হলেই সমস্যায় পড়ে শিক্ষার্থী ও বয়স্করা। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী।
‎‎সরেজমিনে দেখা যায়,গোবিন্দপুর হাইস্কুল সংলগ্ন  আলাদীন মেকানিকের  দোকানের  সামনে হতে জামির হোসেনের বাড়ি হয়ে ফকির বাড়ী এলজিইডি রাস্তা পর্যন্ত প্রায় দের কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় এখনোও কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।বিভিন্ন খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে প্রায় সময়ই বড় রকমের দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়।
‎‎স্থানীয়রা জানান, বোয়ালিয়ার চর গ্রাম ও  আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে,ইংরেজ আমলের রাস্তাটি আজও দেখেনি আলোর মুখ।
‎এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।প্রতি বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে স্কুল, মাদরাসা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রায়ই কাঁদা ডিঙিয়ে গোবিন্দপুর উচ্চ  বিদ্যালয় ও বিভিন্ন  মাদরাসা কিংবা কলেজে যেতে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
‎‎স্থানীয় ইদ্রিস আলী (৫০) জানান,এই রাস্তাটি  প্রতিদিন দুই তিন গ্রামের মানুষের  গোবিন্দপুর  ও গাংগাটিয়া বাজারে চলাচলের  একমাত্র রাস্তা। তাছাড়াও বোয়ালিয়ারচর গ্রামের কোমলমুতি শিক্ষার্থী দের  গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তা এটি।স্থানীয় আলি নেওয়াজ (৬০) ও এলাকাবাসীরা আরো জানান, রাস্তাটি পাকাকরণ খুবই প্রয়োজন। তা না হলে ওই গ্রামের মানুষগুলো প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ কিংবা যানবাহন চলাচল করতে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা পাকাকরনের দাবি জানান তারা।
‎‎স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রশিদ জানান,বোয়ালিয়ার চর,উত্তর বোয়ালিয়ার চর,মধ্য বোয়ালিয়ার চর এবং দক্ষিণ বোয়ালিয়ার চর এলাকার লোকজন চরম ভোগান্তিতে আছে রাস্তাটির জন্য তাই তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি দ্রুত পাকা করনের জন্য জোর দাবি জানান।
‎‎এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী গালিব মুর্শেদ দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ওষুধ খাওয়া হলোনা ছেলের, ওষুধ কিনতে গিয়ে নছিমনের ধাক্কায় কৃষক বাবার মৃত্যু

‎ইংরেজ আমলের কাঁচা রাস্তাটি এখনও হয়নি পাকা।ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের মানুষ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর  ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার চর গ্রাম। গ্রামে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস, গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাঁদা জমে গ্রামের একমাত্র রাস্তাটিতে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। একটু বৃষ্টি হলেই সমস্যায় পড়ে শিক্ষার্থী ও বয়স্করা। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী।
‎‎সরেজমিনে দেখা যায়,গোবিন্দপুর হাইস্কুল সংলগ্ন  আলাদীন মেকানিকের  দোকানের  সামনে হতে জামির হোসেনের বাড়ি হয়ে ফকির বাড়ী এলজিইডি রাস্তা পর্যন্ত প্রায় দের কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় এখনোও কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।বিভিন্ন খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে প্রায় সময়ই বড় রকমের দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়।
‎‎স্থানীয়রা জানান, বোয়ালিয়ার চর গ্রাম ও  আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে,ইংরেজ আমলের রাস্তাটি আজও দেখেনি আলোর মুখ।
‎এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।প্রতি বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে স্কুল, মাদরাসা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রায়ই কাঁদা ডিঙিয়ে গোবিন্দপুর উচ্চ  বিদ্যালয় ও বিভিন্ন  মাদরাসা কিংবা কলেজে যেতে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
‎‎স্থানীয় ইদ্রিস আলী (৫০) জানান,এই রাস্তাটি  প্রতিদিন দুই তিন গ্রামের মানুষের  গোবিন্দপুর  ও গাংগাটিয়া বাজারে চলাচলের  একমাত্র রাস্তা। তাছাড়াও বোয়ালিয়ারচর গ্রামের কোমলমুতি শিক্ষার্থী দের  গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তা এটি।স্থানীয় আলি নেওয়াজ (৬০) ও এলাকাবাসীরা আরো জানান, রাস্তাটি পাকাকরণ খুবই প্রয়োজন। তা না হলে ওই গ্রামের মানুষগুলো প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ কিংবা যানবাহন চলাচল করতে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা পাকাকরনের দাবি জানান তারা।
‎‎স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রশিদ জানান,বোয়ালিয়ার চর,উত্তর বোয়ালিয়ার চর,মধ্য বোয়ালিয়ার চর এবং দক্ষিণ বোয়ালিয়ার চর এলাকার লোকজন চরম ভোগান্তিতে আছে রাস্তাটির জন্য তাই তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি দ্রুত পাকা করনের জন্য জোর দাবি জানান।
‎‎এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী গালিব মুর্শেদ দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।