০৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে গিয়ে জেলের মৃত্যু

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে গিয়ে গোলাম মোস্তফা সরদার (৪৭) নামের এক জেলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন কদমতলা ফরেস্ট স্টেশনের নোটাবেঁকী এলাকার ইলিশিমারি খালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে তার মৃতদেহ লোকালয়ে পৌঁছালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
মৃত গোলাম মোস্তফা সরদার খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং নওশের আলী সরদারের ছেলে।
জানা গেছে, ৪-৫ দিন আগে মোস্তফা সরদারসহ কয়েকজন জেলে একসাথে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান। শুক্রবার বিকালে অভয়ারণ্য এলাকায় তারা মাছ ধরছিলেন, এমন সময় বন বিভাগের স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের ধাওয়া করে। জেলেরা ভয় পেয়ে গভীর বনের দিকে পালিয়ে গেলে বনরক্ষীরা তাদের মাছ ধরার নৌকাটি জব্দ করে নেয়।
এ অবস্থায় গোলাম মোস্তফা সরদার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানান তার সহকর্মী ইউসুফ আলী, যিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট ভেটখালী গ্রামের বাসিন্দা। ইউসুফের ধারণা, মোস্তফা সরদার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সুন্দরবনের ভেতরে একটি স্থানে বসিয়ে রেখে ইউসুফ আশেপাশে থাকা অন্য জেলেদের সহায়তা নিতে যান। পরে অন্য একটি নৌকার জেলেদের সহযোগিতায় তারা মোস্তফার কাছে ফিরে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পান।
এরপর সারারাত নৌকা চালিয়ে শনিবার সকালে মোস্তফার মরদেহ লোকালয়ে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জার এবিএম হাবিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে একজন জেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে ঘটনাটি ঠিক কোন এলাকায় ঘটেছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বন বিভাগের অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবেশ ও মাছ শিকার আইনত দণ্ডনীয়। তবুও জীবিকার তাগিদে অনেক জেলেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনে প্রবেশ করে মাছ শিকারে নামছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বিয়ে, ব্ল্যাকমেইল ও মামলা: নরসিংদীতে এক নারীর ফাঁদে সরকারি কর্মকর্তা

সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে গিয়ে জেলের মৃত্যু

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে গিয়ে গোলাম মোস্তফা সরদার (৪৭) নামের এক জেলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন কদমতলা ফরেস্ট স্টেশনের নোটাবেঁকী এলাকার ইলিশিমারি খালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে তার মৃতদেহ লোকালয়ে পৌঁছালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
মৃত গোলাম মোস্তফা সরদার খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং নওশের আলী সরদারের ছেলে।
জানা গেছে, ৪-৫ দিন আগে মোস্তফা সরদারসহ কয়েকজন জেলে একসাথে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান। শুক্রবার বিকালে অভয়ারণ্য এলাকায় তারা মাছ ধরছিলেন, এমন সময় বন বিভাগের স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের ধাওয়া করে। জেলেরা ভয় পেয়ে গভীর বনের দিকে পালিয়ে গেলে বনরক্ষীরা তাদের মাছ ধরার নৌকাটি জব্দ করে নেয়।
এ অবস্থায় গোলাম মোস্তফা সরদার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানান তার সহকর্মী ইউসুফ আলী, যিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট ভেটখালী গ্রামের বাসিন্দা। ইউসুফের ধারণা, মোস্তফা সরদার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সুন্দরবনের ভেতরে একটি স্থানে বসিয়ে রেখে ইউসুফ আশেপাশে থাকা অন্য জেলেদের সহায়তা নিতে যান। পরে অন্য একটি নৌকার জেলেদের সহযোগিতায় তারা মোস্তফার কাছে ফিরে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পান।
এরপর সারারাত নৌকা চালিয়ে শনিবার সকালে মোস্তফার মরদেহ লোকালয়ে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জার এবিএম হাবিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে একজন জেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে ঘটনাটি ঠিক কোন এলাকায় ঘটেছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বন বিভাগের অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবেশ ও মাছ শিকার আইনত দণ্ডনীয়। তবুও জীবিকার তাগিদে অনেক জেলেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনে প্রবেশ করে মাছ শিকারে নামছেন।