১১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপহরণের ১২ দিন পর- মানিকছড়িতে মাদরাসাছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার!

 খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বুদংপাড়া থেকে অপহরণের ১২ দিন পর হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মাদরাসা ছাত্র মো. সোহেল ১৪) এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথটহল।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল ওয়ার্ডের দূর্গম বুদংপাড়া এলাকার একটি ছড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহেল ছদুরখীল এলাকার বাসিন্দা আবদুল রহিমের বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার ও আবদুল জলিল দম্পতির একমাত্র ছেলে এবং গোরখানায় প্রতিষ্ঠিত শাহানশাহ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরের পর বুদংপাড়ায় জমিতে কাজ করতে গিয়ে  জমির পাশের ছড়ায় লাশটি দেখতে পায় স্থানীয় কৃষক অংগ্যজাই মারমা। পরে পলিশে খবর দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথটহল দল হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে।
এর আগে গত ৪ জুলাই রাতে মানিকছড়ি উপজেলাধীন ২নং বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল এলাকায় নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে মোঃ সোহেল (১৪) নিখোঁজ হয়। পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সোহেলের নানার নাম্বারে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনার পর গত ১১ই জুলাই মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ ও সহায়তা করার অপরাধে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সোহেলের নানা আবদুর রহিম প্রকাশ গফুর আনসার অপহরণ মামলা দায়ের করলে প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করে যৌথবাহিনি।
আটককৃতরা হলেন কসমকার্বারি পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), এবং গোরখানা এলাকার মো. মাঈন উদ্দিন (২১) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২৮)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা অপহরণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও অপহৃতের সন্ধান দিতে পারেনি। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যথাযথ আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন’।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বাগেরহাটে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল

অপহরণের ১২ দিন পর- মানিকছড়িতে মাদরাসাছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার!

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:২৯:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
 খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বুদংপাড়া থেকে অপহরণের ১২ দিন পর হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মাদরাসা ছাত্র মো. সোহেল ১৪) এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথটহল।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল ওয়ার্ডের দূর্গম বুদংপাড়া এলাকার একটি ছড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহেল ছদুরখীল এলাকার বাসিন্দা আবদুল রহিমের বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার ও আবদুল জলিল দম্পতির একমাত্র ছেলে এবং গোরখানায় প্রতিষ্ঠিত শাহানশাহ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরের পর বুদংপাড়ায় জমিতে কাজ করতে গিয়ে  জমির পাশের ছড়ায় লাশটি দেখতে পায় স্থানীয় কৃষক অংগ্যজাই মারমা। পরে পলিশে খবর দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথটহল দল হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে।
এর আগে গত ৪ জুলাই রাতে মানিকছড়ি উপজেলাধীন ২নং বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল এলাকায় নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে মোঃ সোহেল (১৪) নিখোঁজ হয়। পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সোহেলের নানার নাম্বারে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনার পর গত ১১ই জুলাই মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ ও সহায়তা করার অপরাধে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সোহেলের নানা আবদুর রহিম প্রকাশ গফুর আনসার অপহরণ মামলা দায়ের করলে প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করে যৌথবাহিনি।
আটককৃতরা হলেন কসমকার্বারি পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), এবং গোরখানা এলাকার মো. মাঈন উদ্দিন (২১) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২৮)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা অপহরণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও অপহৃতের সন্ধান দিতে পারেনি। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যথাযথ আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন’।