
রাজবাড়ীর পাংশায় সুমি খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শশুর বাড়ীর লোকজনের দাবী আত্মহত্যা কিন্তু পরিবারের দাবী হত্যা।বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৯.৩০ থেকে ১১.৩০ এর কোনো এক সময় উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত সুমি খাতুন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শাজাহান শেখের স্ত্রী ও শরিষা ইউপির বহলাডাঙ্গা গ্রামের বজলু খাঁ এর মেয়ে। তার ১ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিহতের শশুড় বাড়ির লোকজন জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে ননদ ও শাশুড়ীর সাথে সুমির মনমালিন্য হয়। এসময় সুমি তার নিজের ঘরে গিয়ে ঘর আটকে দেয়। পরে রাত ১২ টার দিকে হটাৎ অনেকক্ষণ একটানা সুমির বাচ্চা কান্না করলে পাশের রুমে থাকে শশুড়-শাশুড়ি টিনের বেরার ফুটো দিয়ে তাকিয়ে দেখেন সুমি ঘরের বাশের আড়ার সাথে তার নিজের ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। সেসময় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাকে নামালে দেখতে পান সুমি মারা গেছে।
নিহতের স্বামী শাজাহান শেখ বলেন, আমি ঢাকার শনির আখড়ায় ফার্নিচারের দোকানে কাজ করি। গত রাত ১ টার দিকে আমি খবর পাই আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। তখনই আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আমার স্ত্রী কেনো আত্মহত্যা করেছে আমি জানিনা।অন্যদিকে নিহতের খালু খালেক মন্ডল জানান, খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এসে দেখি আমার ভাইরার মেয়ে মেঝেতে মৃত অবস্থায় পরে আছে। তার শরিরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওর সাথে ওর ননদ আমেনা খাতুন প্রায় সময়ই সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগতো।এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলা নং-২৬।