০৩:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চকরিয়ায় বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পাহাড় দখলের মহোৎসব

  • Kapil uddin
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • 167
চকরিয়ায় বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে একের পর এক বনজঙ্গল নিধন ও পাহাড় দখলের ঘটনা ঘটছে। এসব অপকর্মে জড়িত একটি প্রভাবশালী চক্র বনভূমি দখল করে স্থায়ী বসতি গড়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকায় লক্ষ করা যাচ্ছে রহস্যজনক নীরবতা।
 মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সরেজমিনে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শালবাগান (শান্তিনগর) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, “লুদু ড্রাইভার” নামে পরিচিত এক ব্যক্তি ও তার ছেলে ছোটন একাধিক সহযোগী নিয়ে প্রায় দুইটি পাহাড় দখল করে নিয়েছেন। এ সময় পাহাড় কেটে গাছপালা উজাড় করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসতি স্থাপন ও  গৃহনির্মাণের প্রস্তুতির চিত্র ধরা পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ধরনের দখল প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলছে। বন বিভাগ বরাবরই অবহিত থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং কিছু কর্মকর্তা নীরব সম্মতি দিয়ে এসব দখলদারকে উৎসাহিত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “যেখানে সাধারণ মানুষ একটি গাছ কাটলেও মামলা হয়, সেখানে দিনের পর দিন পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। প্রশাসনের কেউ দেখেও দেখে না!”
এই বিষয়ে চকরিয়া বনবিভাগের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সচেতন মহল বলছে, পরিবেশ বিপর্যয়ের আগে এসব দখল কার্যক্রম বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বাগেরহাটে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল

চকরিয়ায় বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পাহাড় দখলের মহোৎসব

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
চকরিয়ায় বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে একের পর এক বনজঙ্গল নিধন ও পাহাড় দখলের ঘটনা ঘটছে। এসব অপকর্মে জড়িত একটি প্রভাবশালী চক্র বনভূমি দখল করে স্থায়ী বসতি গড়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকায় লক্ষ করা যাচ্ছে রহস্যজনক নীরবতা।
 মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সরেজমিনে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শালবাগান (শান্তিনগর) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, “লুদু ড্রাইভার” নামে পরিচিত এক ব্যক্তি ও তার ছেলে ছোটন একাধিক সহযোগী নিয়ে প্রায় দুইটি পাহাড় দখল করে নিয়েছেন। এ সময় পাহাড় কেটে গাছপালা উজাড় করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসতি স্থাপন ও  গৃহনির্মাণের প্রস্তুতির চিত্র ধরা পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ধরনের দখল প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলছে। বন বিভাগ বরাবরই অবহিত থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং কিছু কর্মকর্তা নীরব সম্মতি দিয়ে এসব দখলদারকে উৎসাহিত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “যেখানে সাধারণ মানুষ একটি গাছ কাটলেও মামলা হয়, সেখানে দিনের পর দিন পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। প্রশাসনের কেউ দেখেও দেখে না!”
এই বিষয়ে চকরিয়া বনবিভাগের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সচেতন মহল বলছে, পরিবেশ বিপর্যয়ের আগে এসব দখল কার্যক্রম বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।