
ভাইরাল হওয়া এক মিনিটের ওই অডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, এই বেডা (সে নিজে) চলতে অইব না। এই বেডারে একটা টেন্ডার দিলে কিতা অয়। আমি কিতা সবটি চাইছিনি। হেরা (কয়েকজনের নাম, উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ না থাকায় নাম উল্লেখ করা হয়নি) সবটি নিলোগি। আমারে শুধু একটা দিলেই অইব।
জহুর সদ্য প্রত্যাহার হওয়া এসপিকে উদেশ্য করে আরও বলেন, এসপি এইডা (ব্যবহার অনুপযোগী শব্দ) তারে পাল্টাইতে অইব। এইটা শুধু আশ্বাস দেয়, কিচ্ছু দেয় না। এরে পাল্টাইতাম কেমনে জানান আমারে। মিটিং, মিছিল কইরা পাল্টাইলিমু এরে। এসময় তিনি লাইভে এসে বদনাম করে পালটানোর হুমকিও দেন।
তিনি বলেন, লাইভ দিয়া এর নামে বদনাম গাইয়া এক্কেরে উল্ডাইলিমু। রাইত ১২ টার সময় নিয়া আমারে কতো আশ্বাস দিছে। আমি ভাবছিলাম এসপি ভালা, গরিবের দিকে তাকায়। আমারে কিছু একটা কইরা দিবো। ফোন দিলে পাত্তাই দেয় না, লাগে দামই দেয় না। ডিসি আবার ঠিকই দাম দেয়। এর লায় কইছি তোমার (এসপির) ১২ টা বাজাইমু আমি লাইভ ছাইড়া। এসপিরে ভালা কইরা বুঝাইয়া কইন আমারে কিচ্ছু দিবোনি। আমার একটা জাহাজ (অবৈধ বালু বোঝাই নৌকা) আটকিয়া রইছে। ইটা ছুটাই দিবনি, ইটা ছুটাই দিলেও কয়টা টেকা পাই।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমি কোন অডিও শুনিনি। সেখানে কি বলেছে তাও জানি না। শুধু জহুর আলীর কথা আমি শুনবো কেন? আমি সবার কথা শুনি। কিন্তু জহুর আলি আমার কাছে কোন টেন্ডার চায় নি, আমি দেইও নাই। আমি দিতে পারিও না। টেন্ডারের একটা ক্রাইটেরিয়া আছে, জহুর আলী চাইলেই দেওয়া যাবে না