০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীর পিবিআই কর্তৃক দুবাই থেকে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: হারুন অর-রশিদ খান হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত মো: মহসিন মিয়াকে ইন্টারপুলের রেড এলার্টের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য একটি বার্তা প্রেরন করে। পিবিআই পুলিশ এর একটি টিম দুবাই গিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মহসিন মিয়াকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে এবং গত ২০.০৭.২০২৫ইং তারিখে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে নরসিংদী আদালতে হাজির করে। এ সময় ধৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি প্রদান করে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে নরসিংদী পিবিআই কার্যালয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার ও ইউনিট ইনচার্জ এস.এম মোস্তাইন হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। পুলিশ জানিয়েছে গত ২৫.০২.২০২৩ইং ভোরে মহসিন মিয়া একটি মোটর সাইকেলযোগে ২টি পিস্তলসহ দুইজন শুটারম্যান নিয়ে হারুন অর-রশিদ খানের বাস ভবনের নিচে গিয়ে মসজিদ এর অনুদানের জন্য তাকে ফোন করলে হারুন অর-রশিদ তাদেরকে তৃতীয়তলায় যেতে বলে। পরে মহসিন তার সহযোগিদের নিয়ে তিনতলায় গিয়ে হারুন অর-রশিদের সাথে কুশল বিনিময় করে। পরে হারুন অর-রশিদ তাদেরকে আপ্যায়ন করার জন্য সোফা থেকে উঠে দাড়ানোর সাথে সাথেই দুইজন শুটারম্যান হারুন অর-রশিদের কোমড়ে দুই রাউন্ড গুলি করে তৃতীয়তলা থেকে দৌড়ে নেমে এসে মোটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। অপর আসামী হুমায়ুন একটি প্রাইভেটকার নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল। পরে হারুন অর-রশিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। অতপর তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩১.০৫.২০২৩ইং তারিখে হারুন অর-রশিদ মারা যায়। এ ব্যাপারে গত ২৭.০২.২০২৩ইং তারিখে হারুন অর-রশিদের ছেলে আমিনুর রশিদ খান বাদী হয়ে শিবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাইভেটকার এর চালক নূর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি প্রদান করে। তার তথ্য অনুযায়ী গত ০৭.০৩.২০২৩ইং তারিখে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হারুন অর-রশিদ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার  এবং মামলার অন্যতম আসামী ফরহাদ হোসেন ওরফে মোফাজ্জল হোসেন সরকার, আরিফুল ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ আরো জানায় যে, উক্ত মামলার আসামী আরিফ সরকার ও হুমায়ুন বর্তমানে দুবাইতে অবস্থান করছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ধৃত আসামী মহসিন মিয়া শিবপুর উপজেলার সৈয়দনগর গ্রামের মৃত: আয়েছ আলীর পুত্র।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নড়াইলে সপ্তাহব্যাপী (২৪-৩০ জুলাই) বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে।

নরসিংদীর পিবিআই কর্তৃক দুবাই থেকে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:৫৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: হারুন অর-রশিদ খান হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত মো: মহসিন মিয়াকে ইন্টারপুলের রেড এলার্টের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য একটি বার্তা প্রেরন করে। পিবিআই পুলিশ এর একটি টিম দুবাই গিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মহসিন মিয়াকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে এবং গত ২০.০৭.২০২৫ইং তারিখে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে নরসিংদী আদালতে হাজির করে। এ সময় ধৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি প্রদান করে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে নরসিংদী পিবিআই কার্যালয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার ও ইউনিট ইনচার্জ এস.এম মোস্তাইন হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। পুলিশ জানিয়েছে গত ২৫.০২.২০২৩ইং ভোরে মহসিন মিয়া একটি মোটর সাইকেলযোগে ২টি পিস্তলসহ দুইজন শুটারম্যান নিয়ে হারুন অর-রশিদ খানের বাস ভবনের নিচে গিয়ে মসজিদ এর অনুদানের জন্য তাকে ফোন করলে হারুন অর-রশিদ তাদেরকে তৃতীয়তলায় যেতে বলে। পরে মহসিন তার সহযোগিদের নিয়ে তিনতলায় গিয়ে হারুন অর-রশিদের সাথে কুশল বিনিময় করে। পরে হারুন অর-রশিদ তাদেরকে আপ্যায়ন করার জন্য সোফা থেকে উঠে দাড়ানোর সাথে সাথেই দুইজন শুটারম্যান হারুন অর-রশিদের কোমড়ে দুই রাউন্ড গুলি করে তৃতীয়তলা থেকে দৌড়ে নেমে এসে মোটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। অপর আসামী হুমায়ুন একটি প্রাইভেটকার নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল। পরে হারুন অর-রশিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। অতপর তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩১.০৫.২০২৩ইং তারিখে হারুন অর-রশিদ মারা যায়। এ ব্যাপারে গত ২৭.০২.২০২৩ইং তারিখে হারুন অর-রশিদের ছেলে আমিনুর রশিদ খান বাদী হয়ে শিবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাইভেটকার এর চালক নূর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি প্রদান করে। তার তথ্য অনুযায়ী গত ০৭.০৩.২০২৩ইং তারিখে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হারুন অর-রশিদ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার  এবং মামলার অন্যতম আসামী ফরহাদ হোসেন ওরফে মোফাজ্জল হোসেন সরকার, আরিফুল ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ আরো জানায় যে, উক্ত মামলার আসামী আরিফ সরকার ও হুমায়ুন বর্তমানে দুবাইতে অবস্থান করছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ধৃত আসামী মহসিন মিয়া শিবপুর উপজেলার সৈয়দনগর গ্রামের মৃত: আয়েছ আলীর পুত্র।