
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানকে ভরণ পোষণ না দেওয়া এবং পরিবারের লোকজন দিয়ে তাদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে৷ থানায় লিখিত অভিযোগ এবং ভুক্তভোগী উপজেলার বেড়াখলা গ্রামের, মিজান মুন্সী বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান এর স্ত্রী মোসাঃ নাজমিন আকতার সুত্রে জানা যায়, উপজোলার বেড়াখলা গ্রামের মিজান মুন্সি বাড়ির মৃত ফজলুল করিম এর ছেলে মোঃ লুৎফর রহমান (৫৯), একই বাড়ির লুৎফর রহমানের স্ত্রী মোসাঃ পাপিয়া আক্তার (৫১) তারা আমার ভাসুর এবং জ্যা৷ তারা আমার স্বামীর ক্রয়কৃত জমি জোর করে দখল করে আসছিল ৷ গত ১৯/০৪/২০২৪ তারিখে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ সহ হুমকি ধমকী সহ আমাকে এবং আমার সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়৷ উক্ত বিষয়ে আমি বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করি৷ কিন্তু লুৎফর রহমান এর ছোট ভাই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে থানার লিখিত অভিযোগটি স্থগিত করে রাখে৷ তার পর থেকে তারা আমার স্বামীর জায়গা জমি দখল করার চেষ্টা করছে৷ গত ২৫/০২/২০২৫ তারিখ বিকালে স্বামীর দলিল করা জায়গায় সবজি চাষ করতে গেলে আমাকে গাল মন্দ করে, আমি তার প্রতিবাদ করতে গেলে আমার ভাসুর এবং জ্যা কোদালের উল্টো পিঠ দিয়ে আমার শরীরে আঘাত রক্তাক্ত জখম করে৷ এসময় তারা আমার গলায় থাকা সোনার চেইন নিয়ে যায়৷ পরে আমার ভাই আমাদের বাড়িকে এসে আমাকে ব্রাহ্মণপাড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে৷ মারা মারি, জমি ইত্যাদি বিষয়ে কোর্টে, থানায় মামলা করলে এবার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়৷ উক্ত বিষয়ে ভাসুর এবং জ্যা খিপ্ত হয়ে আমার সৌদি আরব প্রবাসী স্বামীর নিকট বিভিন্ন কু-পরামর্শ দিকে থাকে৷ আমাদের বিয়ে হয় ১৭ বছর আগে, বর্তমানে আমার একটি ৫ বছরে কন্যা সন্তান রয়েছে৷ কিন্তু ভাসুর এবং জ্যা এর পরামর্শে আমার স্বামী বেড়াখলা মিজান মুন্সী বাড়ির মৃত ফজলুল করিম এর ছেলে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম স্ত্রীর অর্থাৎ আমার অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করে৷ তারপর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আমার এবং আমার মেয়ের কোন ভরণ পোষণ ও কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না৷ বর্তমানে ৫ বছরের কন্যা সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি আমি৷ প্রশাসন এবং এলাকাবাসীর উক্ত বিষয়টির সঠিক সমাদান করার জন্য বিনিত অনুরোধ জানাচ্ছি ৷