০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমেছে ইলিশের দাম, সবজির খবর কী?

  • Desk report
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৩:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 292

সরবরাহের তুলনায় চাহিদা কমায় বাজারের কমেছে ইলিশের দাম। নিম্নমুখী অন্যান্য মাছের দামও। তবে হাতেগোনা কয়েকটি সবজির দাম ওঠানামা করলেও স্থিতিশীল রয়েছে বেশিরভাগ শাক-সবজির দাম। এদিকে স্থিতিশীল রয়েছে আলু-পেঁয়াজের বাজারও।

মাঘের শেষে ফাল্গুনের শুরু। দেশের জনপদে এখনও শীতলতা বিরাজ করেছে। সেই শীতলতা রয়েছে সবজির বাজারেও। দুই-একটি সবজির দাম ওঠানামা করলেও নাগালে রয়েছে বেশিরভাগের দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর থাকায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা মোসলেম বলেন, দুই-একটি সবজিতে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ শাক-সবজি। সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম বাড়বে না।
বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা ও লতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ৩০-৩৫ টাকা, শিম ১৫-২০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, মটরশুঁটি ৮০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
 
এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ২০-৩০ টাকা, মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৩৫ টাকা, ব্রকলি ৩৫-৪০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।
 
সবজির দামের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে আলু ও পেঁয়াজের বাজারেও। বর্তমানে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। আর খুচরায় প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থিতিশীল রয়েছে কাঁচা মরিচের দাম। খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৩০-৪০ টাকা। এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২০-২৫ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা, মেথি শাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
 
অস্থির হয়ে ওঠা ইলিশের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কেজিতে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমে বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২৫০০-২৬০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৭০০-১৮০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে। আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ইলিশ বিক্রেতা মো. শুকুর আলী বলেন, সরবরাহ তেমন বাড়েনি। তবে দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা কমেছে। এতে কমেছে দামও।
 
দাম কমেছে অন্যান্য মাছেরও। বাজারে কেজিতে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৭৫০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
ট্যাগঃ
জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

কমেছে ইলিশের দাম, সবজির খবর কী?

পোস্ট হয়েছেঃ ০৩:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সরবরাহের তুলনায় চাহিদা কমায় বাজারের কমেছে ইলিশের দাম। নিম্নমুখী অন্যান্য মাছের দামও। তবে হাতেগোনা কয়েকটি সবজির দাম ওঠানামা করলেও স্থিতিশীল রয়েছে বেশিরভাগ শাক-সবজির দাম। এদিকে স্থিতিশীল রয়েছে আলু-পেঁয়াজের বাজারও।

মাঘের শেষে ফাল্গুনের শুরু। দেশের জনপদে এখনও শীতলতা বিরাজ করেছে। সেই শীতলতা রয়েছে সবজির বাজারেও। দুই-একটি সবজির দাম ওঠানামা করলেও নাগালে রয়েছে বেশিরভাগের দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর থাকায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা মোসলেম বলেন, দুই-একটি সবজিতে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ শাক-সবজি। সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম বাড়বে না।
বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা ও লতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ৩০-৩৫ টাকা, শিম ১৫-২০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, মটরশুঁটি ৮০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
 
এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ২০-৩০ টাকা, মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৩৫ টাকা, ব্রকলি ৩৫-৪০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।
 
সবজির দামের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে আলু ও পেঁয়াজের বাজারেও। বর্তমানে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। আর খুচরায় প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থিতিশীল রয়েছে কাঁচা মরিচের দাম। খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৩০-৪০ টাকা। এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২০-২৫ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা, মেথি শাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
 
অস্থির হয়ে ওঠা ইলিশের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কেজিতে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমে বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২৫০০-২৬০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৭০০-১৮০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে। আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ইলিশ বিক্রেতা মো. শুকুর আলী বলেন, সরবরাহ তেমন বাড়েনি। তবে দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা কমেছে। এতে কমেছে দামও।
 
দাম কমেছে অন্যান্য মাছেরও। বাজারে কেজিতে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৭৫০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।