০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় প্রেমঘটিত বিরোধে দুই নারীকে গলা কেটে হত্যা, আহত কিশোরী হাসপাতালে

  • আসিফ কামাল
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০১:২৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • 145
বগুড়ায় প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে নিজ বাড়িতে দাদিশাশুড়ি ও নাতবউকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ছুরিকাহত হয়েছেন পরিবারের এক কিশোরী সদস্য। বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ি পশ্চিমপাড়ায় এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন—ইসলামপুর হরিগাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮০) এবং তাঁর নাতি পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। এ সময় পারভেজের ছোট বোন বন্যা (১৫) ছুরিকাহত হন। তিনি বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত হাবিবার কোলে থাকা সাত মাস বয়সী শিশুপুত্র তখন ঘটনাস্থলেই ছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকেও উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে শিশুটি নিরাপদে রয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি পাস করা কিশোরী বন্যার সঙ্গে স্থানীয় সোহেলের ছেলে সৈকত ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সৈকত মাদকাসক্ত হওয়ায় বন্যার পরিবার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হয়। এরপর থেকেই সৈকত বন্যাকে উত্ত্যক্ত করতেন এবং জোর করে বিয়ের জন্য চাপ দিতেন।
বন্যার ফুফাতো ভাই খোকন মিয়া বলেন, “বুধবার রাতে বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় সৈকতসহ সাত-আটজন যুবক বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাঁদের বাধা দিলে হাবিবাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর ঘরের ভেতরে গিয়ে দাদিশাশুড়ি লাইলী বেওয়াকেও হত্যা করে। বন্যা ছুটে এলে তার পেটেও ছুরিকাঘাত করা হয়।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্যা রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করতে করতে বাইরে বের হয়ে আসেন। প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখতে পান, বারান্দায় বেসিনের পাশে হাবিবার গলাকাটা লাশ এবং ঘরের ভেতর পড়ে আছে লাইলী বেওয়ার নিথর দেহ। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত শিশুটিকেও উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, “ঘটনার পর ছুরিকাহত বন্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযুক্ত হিসেবে সৈকতের নাম বলেন। পুলিশের একাধিক দল তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়রা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যুবদলের বিক্ষোভ

বগুড়ায় প্রেমঘটিত বিরোধে দুই নারীকে গলা কেটে হত্যা, আহত কিশোরী হাসপাতালে

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:২৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
বগুড়ায় প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে নিজ বাড়িতে দাদিশাশুড়ি ও নাতবউকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ছুরিকাহত হয়েছেন পরিবারের এক কিশোরী সদস্য। বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ি পশ্চিমপাড়ায় এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন—ইসলামপুর হরিগাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮০) এবং তাঁর নাতি পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। এ সময় পারভেজের ছোট বোন বন্যা (১৫) ছুরিকাহত হন। তিনি বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত হাবিবার কোলে থাকা সাত মাস বয়সী শিশুপুত্র তখন ঘটনাস্থলেই ছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকেও উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে শিশুটি নিরাপদে রয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি পাস করা কিশোরী বন্যার সঙ্গে স্থানীয় সোহেলের ছেলে সৈকত ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সৈকত মাদকাসক্ত হওয়ায় বন্যার পরিবার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হয়। এরপর থেকেই সৈকত বন্যাকে উত্ত্যক্ত করতেন এবং জোর করে বিয়ের জন্য চাপ দিতেন।
বন্যার ফুফাতো ভাই খোকন মিয়া বলেন, “বুধবার রাতে বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় সৈকতসহ সাত-আটজন যুবক বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাঁদের বাধা দিলে হাবিবাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর ঘরের ভেতরে গিয়ে দাদিশাশুড়ি লাইলী বেওয়াকেও হত্যা করে। বন্যা ছুটে এলে তার পেটেও ছুরিকাঘাত করা হয়।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্যা রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করতে করতে বাইরে বের হয়ে আসেন। প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখতে পান, বারান্দায় বেসিনের পাশে হাবিবার গলাকাটা লাশ এবং ঘরের ভেতর পড়ে আছে লাইলী বেওয়ার নিথর দেহ। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত শিশুটিকেও উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, “ঘটনার পর ছুরিকাহত বন্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযুক্ত হিসেবে সৈকতের নাম বলেন। পুলিশের একাধিক দল তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়রা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।