১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাট-১ আসনে বিএনপি মনোনয়ন পেতে চান মশিউর রহমান যাদু

  • এস এম রাজ,
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৫২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • 47
বাগেরহাট ১ আসন  ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে বেশ সাড়া ফেলেছেন বাগেরহাটের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু।
যিনি বাগেরহাট-১ আসন তথা ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী বাসীর কাছে মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নে অংশ গ্রহন মূলক ভূমিকা রেখে বেশ প্রসংশিত হয়েছেন। বিশেষ করে ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের পর থেকে চিতলমারী উপজেলায় ২৪৮টি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উপাসনালয় মন্দির গুলোকে দূর্গাপূজা পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে তাদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ স্থাপন করে এলাকায় আলোচিত ও সর্বমহলে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে প্রমান করেছেন।
রাজনৈতিক জীবন ধারায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ ধারন করে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ছাত্র সংগঠন  ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন ১৯৯৭ সাল থেকে।
একাধারে তিনি ওয়ার্ড ছাত্রদল থেকে শুরু করে খুলনা সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্র সংসদ এর জি, এস নির্বাচিত হন, সিটি কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও পরে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন।
মশিউর রহমান যাদু তার মেধা, মনন, সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) খুলনা জেলা শাখার ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন ২০১৭ সালে। পরবর্তীতে তার সাহসী নেতৃত্ব ও পরিশ্রমের পুরস্কার হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেয়।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেখানো পথ অনুস্মরন করে রাজপথের আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা সহ স্বৈরাচার, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতন আন্দোলনে যাদু দীর্ঘ ১৭ বছরে বহুবার জেল জুলুম সহ্য করে, পরিবার থেকে প্রায় দীর্ঘ একযুগ সময় দূরে থেকেছেন। হারিয়েছেন তার রাজনৈতিক শিক্ষক জন্মদাতা পিতাকে। নিজে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেছেন অনেকবার। কোন রক্তচক্ষু তাকে থামাতে পারেনি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন থেকে।
শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে ছাত্র জীবন থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে অংশগ্রহণ করে চলেছেন বাগেরহাটের কৃতি সন্তান মশিউর রহমান যাদু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার যুদ্ধে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার বিরুদ্ধে তার লেখনি ছিলো বুলেটের চেয়ে শক্তিশালী।
রাজনৈতিক জীবন ধারায় পদ সমূহ- সাবেক জি,এস সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্র সংসদ,
সাবেক সহ-সভাপতি, সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্রদল।
সাবেক সহ-সভাপতি, খুলনা মহানগর ছাত্রদল, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক, খুলনা জেলা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন।
মশিউর রহমান যাদু, কমল স্মৃতি পরিষদ নামে একটি সামাজিক ও গবেষণা মূলক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে তার সম্পাদনায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ওপর রচিত চারটি বইয়ের প্রকাশনা সম্পন্ন করেন।
একাধিক পদে সততার সাথে নিজের ওপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-১ আসন। এই আসনটিতে বিএনপি হতে মশিউর রহমান যাদু সহ আরো অন্য দলের প্রার্থী রয়েছে প্রায় অর্ধ ডজন।
সকল দলের প্রার্থী তাদের কাজ করে চলেছে। তবে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী বাসীর মন জয় করে হয়ে উঠেছেন মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ।
ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-১ আসনের জনতার প্রিয় মানুষ হিসেবে মশিউর রহমান যাদু নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন- বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকে এই অঞ্চলে নির্বাচিত হয়ে আসছে পতিত স্বৈরাচারের বংশধরেরা – শেখ হাসিনা, শেখ হেলাল এর মতো দূর্নীতিবাজেরা। তারা জনগনের সেবক না হয়ে শাসক হয়ে শোষণ করেছে বলে এই বঞ্চিত অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয় হয়নি
বিগত দিন গুলোতে। এই সহজ, সরল কৃষক, শ্রমিক অঞ্চলের মানুষকে তারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কোন অবকাঠামো উন্নয়ন তারা করেনি। অথচ তারা চাইলে এই বঞ্চিত নিপীড়িত অঞ্চলের জন্য তাদের অনেক কিছুই করার ছিলো, তা তারা করেননি। বার বার এই এলাকার বঞ্চিত মানুষের বিশ্বাস নিয়ে তারা প্রতারণা করে গেছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে যাদু বলেন- ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রেমে পড়েছি, তাই জীবনের শৈশব, কৈশোর সবকিছু দলের জন্য নিবেদন করেছি। স্বপ্ন দেখেছি মানুষের সেবা করার। সেবার সবচেয়ে বড় মাধ্যম সত্যিকারের জনকল্যাণমুখী রাজনীতি। আমি আমার দলের জন্য সেইটাই করে যাচ্ছি। যা করলে দেশ, জাতি, সমাজ এবং আমার দল বিএনপি উপকৃত হবে আমি তাই করছি। আপনারা যে প্রশ্ন করেছেন তার সঠিক উত্তর আমার কাছে নেই। আমার নেতা তারুণ্যের রাজনৈতিক অভিভাবক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের কল্যানে আমাকে যেখানে কাজে লাগাবেন, আমি সেই কাজ করার মানুষিকতা রাখি। আমার নেতাই সিদ্ধান্ত নিবেন কে প্রার্থী হবেন! তবে আমরা সবাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছি।
বাগেরহাট এখনো একটি অবহেলিত জনপদ হয়ে রয়ে গেছে। যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের সুযোগ পায় তাহলে এই অবহেলিত জনপদকে বাসযোগ্য, নিরাপদ, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মান হবে বলে আশা করি।
আগামী নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী হবেন কি-না সরাসরি উত্তর চাইলে যাদু বলেন- এই অঞ্চলের মানুষ কি চায়, তারওপর নির্ভর করে সবকিছু। তারা যদি শাসক চায় তাহলে আমি সেটা হতে পারবো না। আমি এই অঞ্চলের কাঁদা লেপ্টে বড় হয়েছি। আমার গায়ে এই জনপদের মাঠির ঘ্রান লেগে আছে। আমি তাদের সেবক হতে চাই যদি তারা চায় আর আমার দল সেইটা অনুভব করে! আমি কখনোই নেতা নই, একজন রাজনৈতিক কর্মী মাত্র।
ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা এই তরুন, মেধাবী, সৃষ্টিশীল নেতৃত্ব মশিউর রহমান যাদু সম্পর্কে সাধারণ স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন- যাদু মিয়া আমাদের ঘরের ছেলে। তার পরিশ্রম, মেধা, বিনয়ী ও সদাহাস্যজ্বল ছেলেটি আমাদের অনেক প্রিয়। তার বাবার মতো মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছে। তার মতো সাহসী, সৎ ও পরিশ্রমী তরুণরদের যদি তার দল মূল্যায়ন করে তাহলে আমরা হবো সৌভাগ্যবান।
বাগেরহাট-১ আসনের তৃণমূল বিএনপির অনেকেই জানান, ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় ফ্যাসিবাদি সরকারের প্রধান হাসিনা ও তার দোসর রাঘব বোয়াল দালালেরা। কিন্তু দেশের অর্থনীতিকে তারা লুটপাটের মাধ্যমে বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে দিয়ে যায়। আবার তারা দেশকে নিয়ে বিভিন্ন দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশকে ধ্বংস করতে তারা তাদের প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমন একটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় দেশের মানুষ বিএনপির উপর অনেকটাই আস্থা রেখেছে। বিএনপির পাশে শক্তি এখন সাধারণ জনগন। তাই এই জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে মশিউর রহমান যাদুর মতো ত্যাগী এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের পরিক্ষিত সৈনিকদের দলীয় মনোনয়ন দিলে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।
সফল হবে ছাত্র জনতার মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।
মশিউর রহমান যাদুর মতো ত্যাগী তরুণ নেতারাই সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারে। তাই বাগেরহাট-১ আসনে সাধারণ অসহায় মেহনতী মানুষের প্রাণের দাবি মশিউর রহমান যাদুকে আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে সঠিক সেবার মান জনতার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিএনপির নিতি নির্ধারকেরা ব্যাবস্থা করবেন বলে আশাবাদী তারা।
বাগেরহাটের মা, মাটি ও মানুষের ভালোবাসার ছেলে মশিউর রহমান যাদু। তাকে নেতা হিসেবে নয় নিজেদের ঘরের ছেলে মনে করেন বলে উক্তি করেন অনেকেই।
সাবেক এই ছাত্রনেতা মশিউর রহমান যাদু বলেন- আমি বিএনপির রাজনীতি করি, আমার রক্তে মিশে আছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ। বিএনপি শাসন আর শোষণে বিশ্বাসী নয়, বিএনপি জনগনের সেবকে বিশ্বাসী। আমি ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে আছি এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বিএনপির তৃণমূলের একজন সাচ্ছা কর্মী হয়ে মানুষের সেবার রাজনীতি করে যাবো। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে অটল থাকবো এবং দেশদরদী তারেক রহমানের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সর্বদা নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি ইনশাআল্লাহ। আগামীর বাংলাদেশ হবে ৩১ দফার আলোকে, নিরাপদ, বাসযোগ্য, বেকারত্ব দূরিকরন ও অর্থনৈতিক মুক্তির সোনার বাংলাদেশ।
বয়সে তরুণ সাবেক ছাত্রনেতা মশিউর রহমান যাদুকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দিতামূলক।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ধর্মপাশা পাইকুরাটি ইউনিয়ন বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

বাগেরহাট-১ আসনে বিএনপি মনোনয়ন পেতে চান মশিউর রহমান যাদু

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৫২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
বাগেরহাট ১ আসন  ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে বেশ সাড়া ফেলেছেন বাগেরহাটের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু।
যিনি বাগেরহাট-১ আসন তথা ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী বাসীর কাছে মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নে অংশ গ্রহন মূলক ভূমিকা রেখে বেশ প্রসংশিত হয়েছেন। বিশেষ করে ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের পর থেকে চিতলমারী উপজেলায় ২৪৮টি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উপাসনালয় মন্দির গুলোকে দূর্গাপূজা পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে তাদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ স্থাপন করে এলাকায় আলোচিত ও সর্বমহলে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে প্রমান করেছেন।
রাজনৈতিক জীবন ধারায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ ধারন করে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ছাত্র সংগঠন  ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন ১৯৯৭ সাল থেকে।
একাধারে তিনি ওয়ার্ড ছাত্রদল থেকে শুরু করে খুলনা সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্র সংসদ এর জি, এস নির্বাচিত হন, সিটি কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও পরে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন।
মশিউর রহমান যাদু তার মেধা, মনন, সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) খুলনা জেলা শাখার ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন ২০১৭ সালে। পরবর্তীতে তার সাহসী নেতৃত্ব ও পরিশ্রমের পুরস্কার হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেয়।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেখানো পথ অনুস্মরন করে রাজপথের আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা সহ স্বৈরাচার, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতন আন্দোলনে যাদু দীর্ঘ ১৭ বছরে বহুবার জেল জুলুম সহ্য করে, পরিবার থেকে প্রায় দীর্ঘ একযুগ সময় দূরে থেকেছেন। হারিয়েছেন তার রাজনৈতিক শিক্ষক জন্মদাতা পিতাকে। নিজে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেছেন অনেকবার। কোন রক্তচক্ষু তাকে থামাতে পারেনি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন থেকে।
শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে ছাত্র জীবন থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে অংশগ্রহণ করে চলেছেন বাগেরহাটের কৃতি সন্তান মশিউর রহমান যাদু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার যুদ্ধে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার বিরুদ্ধে তার লেখনি ছিলো বুলেটের চেয়ে শক্তিশালী।
রাজনৈতিক জীবন ধারায় পদ সমূহ- সাবেক জি,এস সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্র সংসদ,
সাবেক সহ-সভাপতি, সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্রদল।
সাবেক সহ-সভাপতি, খুলনা মহানগর ছাত্রদল, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক, খুলনা জেলা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন।
মশিউর রহমান যাদু, কমল স্মৃতি পরিষদ নামে একটি সামাজিক ও গবেষণা মূলক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে তার সম্পাদনায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ওপর রচিত চারটি বইয়ের প্রকাশনা সম্পন্ন করেন।
একাধিক পদে সততার সাথে নিজের ওপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-১ আসন। এই আসনটিতে বিএনপি হতে মশিউর রহমান যাদু সহ আরো অন্য দলের প্রার্থী রয়েছে প্রায় অর্ধ ডজন।
সকল দলের প্রার্থী তাদের কাজ করে চলেছে। তবে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী বাসীর মন জয় করে হয়ে উঠেছেন মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ।
ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-১ আসনের জনতার প্রিয় মানুষ হিসেবে মশিউর রহমান যাদু নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন- বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকে এই অঞ্চলে নির্বাচিত হয়ে আসছে পতিত স্বৈরাচারের বংশধরেরা – শেখ হাসিনা, শেখ হেলাল এর মতো দূর্নীতিবাজেরা। তারা জনগনের সেবক না হয়ে শাসক হয়ে শোষণ করেছে বলে এই বঞ্চিত অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয় হয়নি
বিগত দিন গুলোতে। এই সহজ, সরল কৃষক, শ্রমিক অঞ্চলের মানুষকে তারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কোন অবকাঠামো উন্নয়ন তারা করেনি। অথচ তারা চাইলে এই বঞ্চিত নিপীড়িত অঞ্চলের জন্য তাদের অনেক কিছুই করার ছিলো, তা তারা করেননি। বার বার এই এলাকার বঞ্চিত মানুষের বিশ্বাস নিয়ে তারা প্রতারণা করে গেছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে যাদু বলেন- ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রেমে পড়েছি, তাই জীবনের শৈশব, কৈশোর সবকিছু দলের জন্য নিবেদন করেছি। স্বপ্ন দেখেছি মানুষের সেবা করার। সেবার সবচেয়ে বড় মাধ্যম সত্যিকারের জনকল্যাণমুখী রাজনীতি। আমি আমার দলের জন্য সেইটাই করে যাচ্ছি। যা করলে দেশ, জাতি, সমাজ এবং আমার দল বিএনপি উপকৃত হবে আমি তাই করছি। আপনারা যে প্রশ্ন করেছেন তার সঠিক উত্তর আমার কাছে নেই। আমার নেতা তারুণ্যের রাজনৈতিক অভিভাবক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের কল্যানে আমাকে যেখানে কাজে লাগাবেন, আমি সেই কাজ করার মানুষিকতা রাখি। আমার নেতাই সিদ্ধান্ত নিবেন কে প্রার্থী হবেন! তবে আমরা সবাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছি।
বাগেরহাট এখনো একটি অবহেলিত জনপদ হয়ে রয়ে গেছে। যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের সুযোগ পায় তাহলে এই অবহেলিত জনপদকে বাসযোগ্য, নিরাপদ, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মান হবে বলে আশা করি।
আগামী নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী হবেন কি-না সরাসরি উত্তর চাইলে যাদু বলেন- এই অঞ্চলের মানুষ কি চায়, তারওপর নির্ভর করে সবকিছু। তারা যদি শাসক চায় তাহলে আমি সেটা হতে পারবো না। আমি এই অঞ্চলের কাঁদা লেপ্টে বড় হয়েছি। আমার গায়ে এই জনপদের মাঠির ঘ্রান লেগে আছে। আমি তাদের সেবক হতে চাই যদি তারা চায় আর আমার দল সেইটা অনুভব করে! আমি কখনোই নেতা নই, একজন রাজনৈতিক কর্মী মাত্র।
ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা এই তরুন, মেধাবী, সৃষ্টিশীল নেতৃত্ব মশিউর রহমান যাদু সম্পর্কে সাধারণ স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন- যাদু মিয়া আমাদের ঘরের ছেলে। তার পরিশ্রম, মেধা, বিনয়ী ও সদাহাস্যজ্বল ছেলেটি আমাদের অনেক প্রিয়। তার বাবার মতো মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছে। তার মতো সাহসী, সৎ ও পরিশ্রমী তরুণরদের যদি তার দল মূল্যায়ন করে তাহলে আমরা হবো সৌভাগ্যবান।
বাগেরহাট-১ আসনের তৃণমূল বিএনপির অনেকেই জানান, ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় ফ্যাসিবাদি সরকারের প্রধান হাসিনা ও তার দোসর রাঘব বোয়াল দালালেরা। কিন্তু দেশের অর্থনীতিকে তারা লুটপাটের মাধ্যমে বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে দিয়ে যায়। আবার তারা দেশকে নিয়ে বিভিন্ন দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশকে ধ্বংস করতে তারা তাদের প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমন একটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় দেশের মানুষ বিএনপির উপর অনেকটাই আস্থা রেখেছে। বিএনপির পাশে শক্তি এখন সাধারণ জনগন। তাই এই জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে মশিউর রহমান যাদুর মতো ত্যাগী এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের পরিক্ষিত সৈনিকদের দলীয় মনোনয়ন দিলে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।
সফল হবে ছাত্র জনতার মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।
মশিউর রহমান যাদুর মতো ত্যাগী তরুণ নেতারাই সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারে। তাই বাগেরহাট-১ আসনে সাধারণ অসহায় মেহনতী মানুষের প্রাণের দাবি মশিউর রহমান যাদুকে আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে সঠিক সেবার মান জনতার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিএনপির নিতি নির্ধারকেরা ব্যাবস্থা করবেন বলে আশাবাদী তারা।
বাগেরহাটের মা, মাটি ও মানুষের ভালোবাসার ছেলে মশিউর রহমান যাদু। তাকে নেতা হিসেবে নয় নিজেদের ঘরের ছেলে মনে করেন বলে উক্তি করেন অনেকেই।
সাবেক এই ছাত্রনেতা মশিউর রহমান যাদু বলেন- আমি বিএনপির রাজনীতি করি, আমার রক্তে মিশে আছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ। বিএনপি শাসন আর শোষণে বিশ্বাসী নয়, বিএনপি জনগনের সেবকে বিশ্বাসী। আমি ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে আছি এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বিএনপির তৃণমূলের একজন সাচ্ছা কর্মী হয়ে মানুষের সেবার রাজনীতি করে যাবো। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে অটল থাকবো এবং দেশদরদী তারেক রহমানের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সর্বদা নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি ইনশাআল্লাহ। আগামীর বাংলাদেশ হবে ৩১ দফার আলোকে, নিরাপদ, বাসযোগ্য, বেকারত্ব দূরিকরন ও অর্থনৈতিক মুক্তির সোনার বাংলাদেশ।
বয়সে তরুণ সাবেক ছাত্রনেতা মশিউর রহমান যাদুকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দিতামূলক।