০৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির কাউন্সিলে জাল ভোট, সংঘর্ষে আহত ৮

  • ABM RAIHAN PARVEZ
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৩২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • 94

​সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বিএনপির ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিলে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দলটির সাবেক পৌর আহ্বায়ক শেখ লিয়াকত আলীসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বিএনপি কর্মী মিঠু ও বাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে শ্যামনগর পৌর সদরের নকিপুর এইচসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই ঘটনা ঘটে।​যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত​ শ্যামনগর উপজেলায় বিএনপির ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের জন্য ভোট গ্রহণ চলছিল। এ সময় একটি পক্ষ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় শতাধিক জাল ভোটার ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ তোলে এবং ভোট স্থগিতের দাবি জানায়। এর প্রতিবাদে অন্য পক্ষ তাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।​আহত বিএনপি নেতা বাবু জানান, জাল ভোটের প্রতিবাদ করায় ওয়াহেদ মুন্নার অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার শিকার হন শেখ লিয়াকত আলী। তাকে বাঁচাতে গেলে আনোয়ার-উস-শাহাদাত মিঠু, ফজলুর রহমান বাবু, মোনাজাত খানসহ আরও কয়েকজন আহত হন। হামলায় মিঠুর মাথায় প্লাস্টিকের পাইপের আঘাতে গুরুতর জখম হয়।​শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকির হোসেন বলেন, আহত মিঠুর মাথায় গভীর আঘাত লেগেছে এবং কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।​আহত শেখ লিয়াকত আলী অভিযোগ করেন, কাউন্সিলে জাল ডেলিগেট, ভোটার ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি এই ঘটনার জন্য কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেলা নেতাদের দায়ী করেছেন।​তদন্ত ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা​সংঘর্ষের পর শ্যামনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং সংঘর্ষের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।​তবে, কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক টিমের প্রধান তাসকিন আহমেদ চিশতি, জেলা আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ এবং সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু কেউই সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মধুখালীতে পাট নিয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির কাউন্সিলে জাল ভোট, সংঘর্ষে আহত ৮

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৩২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

​সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বিএনপির ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিলে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দলটির সাবেক পৌর আহ্বায়ক শেখ লিয়াকত আলীসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বিএনপি কর্মী মিঠু ও বাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে শ্যামনগর পৌর সদরের নকিপুর এইচসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই ঘটনা ঘটে।​যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত​ শ্যামনগর উপজেলায় বিএনপির ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের জন্য ভোট গ্রহণ চলছিল। এ সময় একটি পক্ষ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় শতাধিক জাল ভোটার ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ তোলে এবং ভোট স্থগিতের দাবি জানায়। এর প্রতিবাদে অন্য পক্ষ তাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।​আহত বিএনপি নেতা বাবু জানান, জাল ভোটের প্রতিবাদ করায় ওয়াহেদ মুন্নার অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার শিকার হন শেখ লিয়াকত আলী। তাকে বাঁচাতে গেলে আনোয়ার-উস-শাহাদাত মিঠু, ফজলুর রহমান বাবু, মোনাজাত খানসহ আরও কয়েকজন আহত হন। হামলায় মিঠুর মাথায় প্লাস্টিকের পাইপের আঘাতে গুরুতর জখম হয়।​শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকির হোসেন বলেন, আহত মিঠুর মাথায় গভীর আঘাত লেগেছে এবং কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।​আহত শেখ লিয়াকত আলী অভিযোগ করেন, কাউন্সিলে জাল ডেলিগেট, ভোটার ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি এই ঘটনার জন্য কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেলা নেতাদের দায়ী করেছেন।​তদন্ত ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা​সংঘর্ষের পর শ্যামনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং সংঘর্ষের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।​তবে, কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক টিমের প্রধান তাসকিন আহমেদ চিশতি, জেলা আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ এবং সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু কেউই সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি।