
বরিশালে চাঁদা না দেওয়ায় ইজারা নেওয়া ঘাট দখল মামলার আসামি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির পরিবর্তে তার ভাই এজলাসে উঠে জামিন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৩ জলাই) বরিশাল জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত থেকে এ জামিন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন বাদী।
নকল আসামিকে আদালতে হাজির করে জামিন নেওয়ার ঘটনায় বাদী সংশ্লিষ্ট হাকিম বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রকৃত আসামি হলেন বরিশালের মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল। বাদী হলেন একই উপজেলার চর ডুমিতলা এলাকার মৃত লোকমান হোসাইন মাতুব্বরের ছেলে হেমায়েত উদ্দিন মাতুব্বর।
হাকিম বরাবর দেওয়া আবেদনে হেমায়েত উল্লেখ করেন, মুলাদী থানায় করা মামলার দুই নম্বর আসামি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল। তিনি বাড়িতে বসে থেকে তার সহোদর মো. সোহেলকে আদালতে হাজির করিয়ে জামিন নিয়েছেন। আর প্রকৃত আসামি ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
এদিকে আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলেও দাবি বাদীর। তাই আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. তারিকুল হাসান পলাশ বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আদালতের জিআরও খাদিজা বেগম বলেন, শুনেছি আসামির পরিবর্তে অন্য একজনকে হাজির করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল বলেন, তিনি নিজে এবং মামলার আরেক আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আগামী ধার্য্য তারিখেই বোঝা যাবে, কে হাজির হয়েছিলেন।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে উপজেলার চর ডুমিতলা লঞ্চঘাটের ইজারাদার ছিলেন বাদী হেমায়েত উদ্দিন মাতুব্বর। তখন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় ওই বছরের ৭ অগাস্ট তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে ঘাটের দখল নেন জুয়েল। ওই সময় থানায় মামলা করার সুযোগও তিনি পাননি। গত বছরের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২৯ নভেম্বর ১২ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন হেমায়েত উদ্দিন।