০৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গাবালীতে নতুন ভবনের কাজ সমাপ্ত না হওয়ায়, পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

  • আ: রহিম গাজী
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৩৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • 34
 রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৪৪ নং চরগংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে  ১৫০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  করছে পাঠদান। যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ে গঠতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা এমন আশঙ্কায় দিন কাটছে শিক্ষার্থী, শিক্ষকও অভিভাবকদের।
স্হানীয় মেহেদী হাসান ও জহির হাওলাদার বলেন, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির ভবন টি নির্মিত হয়ে থাকলেও ঠিকাদারের অবহেলায় বালু, ইট, রড লবণ পানি পেয়েছে যার কারনে,  মালামাল লবণ পানি পাওয়ায় অনেক টা নষ্ট হয়ে যায়, এবং সেই মালামাল দিয়ে কাজ করার কারনে ভবন টি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।বর্তমানে ভবন টি  ভেঙে পড়ার উপক্রম। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে, দরজা-জানালা ভেঙে গেছে, পিলার থেকে রড বেরিয়ে গেছে, দেয়ালে ফাটল—সব মিলিয়ে পুরো স্কুল ভবন আজ এক আতঙ্কের নাম। কোথাও কোথাও মেঝেও দেবে গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আমির হোসেন  বলেন, শিক্ষার্থীরা যেমন ঝুঁকির মধ্যে ক্লাস করছে, তেমনি শিক্ষকরাও প্রতিনিয়ত আতঙ্ক নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে আমাদের বিদ‍্যালয়ে নতুন একটি ভবন পেয়েছে, ২০২১ সালে কাজ শুরু হয়েছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি।
স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা  সাহরিমা সুলতানা জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, আর তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চলে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। শিক্ষক সংকট না থাকলেও শ্রেণিকক্ষ ও অবকাঠামোর ভয়াবহ সংকটে সুষ্ঠু পরিবেশে পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসা:  সাওদামনি জানায়, মাঝে মাঝে ছাদের পলেস্তারা খসে মাথায় পড়ে। ক্লাস রুমে উপর থেকে  চুয়ে চুয়ে পানি পরে আমাদের ভীজে ভীজে পড়া লেখা করতে হয়।
স্থানীয়দের দাবি, ৪৪ নং চরগংগা  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি খুবই  ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন  ভবন টির দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করে,শিশুদের জন্য নিরাপদ পাঠদান নিশ্চিত করা হোক।
 উপজেলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ দাস   বলেন, বিদ‍্যাল টি ঝুঁকিপূর্ণ,সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভবনটির ঠিকাদার মো: শামীমের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রাঙ্গাবালী  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব দাশ পুরকিয়স্হ  বলেন, আমি বিষয় টি জেনেছি  এবং  ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে  ফোন দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবন, এবং নতুন ভবনের কাজের বিষয় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব‍্যবস্হা  নিচ্ছি।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

খাগড়াছড়িতে ন্যায়বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সমাবেশ

রাঙ্গাবালীতে নতুন ভবনের কাজ সমাপ্ত না হওয়ায়, পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৩৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
 রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৪৪ নং চরগংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে  ১৫০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  করছে পাঠদান। যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ে গঠতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা এমন আশঙ্কায় দিন কাটছে শিক্ষার্থী, শিক্ষকও অভিভাবকদের।
স্হানীয় মেহেদী হাসান ও জহির হাওলাদার বলেন, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির ভবন টি নির্মিত হয়ে থাকলেও ঠিকাদারের অবহেলায় বালু, ইট, রড লবণ পানি পেয়েছে যার কারনে,  মালামাল লবণ পানি পাওয়ায় অনেক টা নষ্ট হয়ে যায়, এবং সেই মালামাল দিয়ে কাজ করার কারনে ভবন টি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।বর্তমানে ভবন টি  ভেঙে পড়ার উপক্রম। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে, দরজা-জানালা ভেঙে গেছে, পিলার থেকে রড বেরিয়ে গেছে, দেয়ালে ফাটল—সব মিলিয়ে পুরো স্কুল ভবন আজ এক আতঙ্কের নাম। কোথাও কোথাও মেঝেও দেবে গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আমির হোসেন  বলেন, শিক্ষার্থীরা যেমন ঝুঁকির মধ্যে ক্লাস করছে, তেমনি শিক্ষকরাও প্রতিনিয়ত আতঙ্ক নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে আমাদের বিদ‍্যালয়ে নতুন একটি ভবন পেয়েছে, ২০২১ সালে কাজ শুরু হয়েছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি।
স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা  সাহরিমা সুলতানা জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, আর তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চলে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। শিক্ষক সংকট না থাকলেও শ্রেণিকক্ষ ও অবকাঠামোর ভয়াবহ সংকটে সুষ্ঠু পরিবেশে পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসা:  সাওদামনি জানায়, মাঝে মাঝে ছাদের পলেস্তারা খসে মাথায় পড়ে। ক্লাস রুমে উপর থেকে  চুয়ে চুয়ে পানি পরে আমাদের ভীজে ভীজে পড়া লেখা করতে হয়।
স্থানীয়দের দাবি, ৪৪ নং চরগংগা  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি খুবই  ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন  ভবন টির দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করে,শিশুদের জন্য নিরাপদ পাঠদান নিশ্চিত করা হোক।
 উপজেলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ দাস   বলেন, বিদ‍্যাল টি ঝুঁকিপূর্ণ,সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভবনটির ঠিকাদার মো: শামীমের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রাঙ্গাবালী  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব দাশ পুরকিয়স্হ  বলেন, আমি বিষয় টি জেনেছি  এবং  ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে  ফোন দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবন, এবং নতুন ভবনের কাজের বিষয় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব‍্যবস্হা  নিচ্ছি।