০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার, হুমকিতে দেশি প্রজাতি

  • আকিল উদ্দিন
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১২:০২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • 175
কিশোরগঞ্জে হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী ও আশপাশের খাল-বিলে অবাধে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে হুমকিতে পড়েছে দেশি প্রজাতির মাছ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার সিদলা ও জগদল ,পুমদী এবং সাহেবেরচর, গোবিন্দপুর, ও এর আশপাশের বিভিন্ন খাল-বিলে মাছ শিকারে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ রিংজাল, ঘেরজাল, কচাল ও ঘূর্ণিজাল। এসব জালে প্রতিনিয়ত ধরা হচ্ছে বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, পুঁটি, শিং, কৈ, চিংড়ি, গুঁচিসহ নানা প্রজাতির দেশি মাছের পোনা। এতে একদিকে যেমন মাছের উৎপাদন কমছে, তেমনি বিলুপ্তির মুখে পড়ছে বহু দেশি প্রজাতির মাছের ভাণ্ডার। এরই মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছে  মাগুর, টেংরা, পুঁটি, প্রজাতি মাছ। বর্মপুত্র নদীতে এখন টেংরা মাছও আর তেমন দেখা যায় না।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, মাছের পোনা শিকার ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চালানোসহ নিষিদ্ধ জালের বিক্রি বন্ধ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। না হলে একদিন হয়তো দেশি প্রজাতির মাছ থাকবে কেবল স্মৃতি হয়ে।
 উপজেলার   হারেঞ্জা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পানি কম তাই নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মা মাছ শিকারের মহোৎসব চলে। বর্ষা এলেই শুরু হয় মাছের পোনা শিকার। কারেন্ট জাল, রিংজাল, কচালসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করছে শিকারিরা। অথচ মৎস্য অফিসের তেমন কোনো তদারকি নেই।
একই অভিযোগ জগদল গ্রামের  বাসিন্দা আবুল কাসেম। তিনি বলেন, বিল চাতল  বিল  থেকে  প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ দেশি মাছের পোনা ধরে জগদল , নিমুখালী, আমান সরকার বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। মা মাছও ধরা হচ্ছে এসব জালে। এভাবে চললে আগামীতে দেশি মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গাঙ্গাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ জালে প্রতিদিন পানান বিল থেকে ধরা হয় প্রচুর দেশি জাতের পোনা মাছ। এসব মাছ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলে।
এই বর্ষায় খাল-বিল থেকে অবাধে মাছ শিকার করছে। এমনকি প্রকাশ্যে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছে,
এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাজাহারুল ইসলামের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

খাগড়াছড়িতে ন্যায়বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সমাবেশ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার, হুমকিতে দেশি প্রজাতি

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:০২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
কিশোরগঞ্জে হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী ও আশপাশের খাল-বিলে অবাধে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে হুমকিতে পড়েছে দেশি প্রজাতির মাছ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার সিদলা ও জগদল ,পুমদী এবং সাহেবেরচর, গোবিন্দপুর, ও এর আশপাশের বিভিন্ন খাল-বিলে মাছ শিকারে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ রিংজাল, ঘেরজাল, কচাল ও ঘূর্ণিজাল। এসব জালে প্রতিনিয়ত ধরা হচ্ছে বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, পুঁটি, শিং, কৈ, চিংড়ি, গুঁচিসহ নানা প্রজাতির দেশি মাছের পোনা। এতে একদিকে যেমন মাছের উৎপাদন কমছে, তেমনি বিলুপ্তির মুখে পড়ছে বহু দেশি প্রজাতির মাছের ভাণ্ডার। এরই মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছে  মাগুর, টেংরা, পুঁটি, প্রজাতি মাছ। বর্মপুত্র নদীতে এখন টেংরা মাছও আর তেমন দেখা যায় না।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, মাছের পোনা শিকার ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চালানোসহ নিষিদ্ধ জালের বিক্রি বন্ধ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। না হলে একদিন হয়তো দেশি প্রজাতির মাছ থাকবে কেবল স্মৃতি হয়ে।
 উপজেলার   হারেঞ্জা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পানি কম তাই নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মা মাছ শিকারের মহোৎসব চলে। বর্ষা এলেই শুরু হয় মাছের পোনা শিকার। কারেন্ট জাল, রিংজাল, কচালসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করছে শিকারিরা। অথচ মৎস্য অফিসের তেমন কোনো তদারকি নেই।
একই অভিযোগ জগদল গ্রামের  বাসিন্দা আবুল কাসেম। তিনি বলেন, বিল চাতল  বিল  থেকে  প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ দেশি মাছের পোনা ধরে জগদল , নিমুখালী, আমান সরকার বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। মা মাছও ধরা হচ্ছে এসব জালে। এভাবে চললে আগামীতে দেশি মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গাঙ্গাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ জালে প্রতিদিন পানান বিল থেকে ধরা হয় প্রচুর দেশি জাতের পোনা মাছ। এসব মাছ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলে।
এই বর্ষায় খাল-বিল থেকে অবাধে মাছ শিকার করছে। এমনকি প্রকাশ্যে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছে,
এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাজাহারুল ইসলামের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।